আমেরিকার মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা নাসার তরফ থেকে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা মিলেছে “আগন্তুক” দুই নীলচে আলোক বিন্দুর। এই বিন্দু দুটির অবস্থান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেই। গত বৃহস্পতিবার, খবরটি প্রকাশিত হতেই, নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানে – পিলার্স ওফ ক্রিয়েসনের পর পৃথিবীর সর্বোচ্চ শক্তিশালী টেলিস্কোপের এই কি দ্বিতীয় ঐতিহাসিক খোঁজ?
নাসার একটি সরকারি বিবৃতি থেকে জানা যায়, দুই আলোক বিন্দুর একটি দেখা গিয়েছে গাল্ফ অফ থাইল্যান্ডে ও অন্যটি দক্ষিণ চীনা সমুদ্রের পূর্ব ভাগে। তারা আরও জানায়, সাধারণত এই ছবি তোলা জেমস্ ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের পক্ষেও সম্ভব নয়। পৃথিবীর বুকে যে পরিমাণ মেঘের আস্তরণ রয়েছে, সেটা ভেদ করে নীলচে আলো দুটো দেখা গেছে রাতের অন্ধকারে। নীলচে এই আলো মুহুর্মুহু নিজের রং বদলায় – কখনও সে সাদা, কখনও বা আকাশী, কখনও আবার গাঢ় নীল!
যখন এই দুই আশ্চর্য আলোক বিন্দু নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে, আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা নিজেই এর ব্যখ্যা দিয়ে বলেছে, প্রথম আলোক বিন্দু একটি সাধারণ বজ্রপাতের কারণেই তৈরি হয়েছে। আইএসএস অথবা ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশন যখন গাল্ফ অফ থাইল্যান্ডের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই ঘটনাটা ঘটে। ঘন মেঘের মধ্যে সামান্য ছিদ্র থাকায় বিষয়টা দূরবীনের দৃষ্টি এড়ায়নি। দ্বিতীয় আলোক বিন্দু অবশ্য আলোক বিচ্ছুরণের এক আশ্চর্য নিদর্শন। রাতের অন্ধকারে চাঁদের আলো পৃথিবীর মাটি ছুঁয়ে যখন ফিরে আসছে, তখনই মহাকাশ থেকে এমন এক আশ্চর্য নীলচে দৃশ্য তৈরী হয়।
বেশ কিছু বছর ধরেই এক অন্য ধারার গবেষণায় মেতেছে নাসা – আনরিলেটেড ন্যাচারাল ফেনোমেনা অর্থাৎ আকস্মিক মহাকাশ উদঘাটন। এমন কিছুর খোঁজ এই গবেষণা সংস্থা চালিয়ে যাচ্ছে, তাই মুহূর্তেই পাল্টে দিতে পারে বর্তমানের অনেক নথিপত্র। এই দুই নীলচে আলোক বিন্দু কি সেই মহাজাগতিক খোঁজেরই এক আকস্মিক উদঘাটন? যদিও, জার্মানি সহ অন্যান্য বেশ কিছু প্রযুক্তিগত উন্নত দেশগুলির বিজ্ঞানিরা নাসার বিবৃতিতে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। বেরিয়ে আসছে একের পর এক থিওরি। কোনটা স্মৃতি, সে তো সময়ই বলবে।