পুরোহিত মানেই আমরা জানি যে ভগবানের পূজারী, ভগবানের সেবায় নিমজ্জিত থাকেন যিনি। আর এই পুরোহিত হন একজন দায়িত্ববান পুরুষ। মহিলারা কি পুরোহিত হন না নাকি হতে দেওয়া হয় না? অবাক হওয়ার কিছু নেই এইরকম এক বিরল ঘটনা ঘটল মথুরায়। ৮০ বছর বয়সে এক ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছিলেন মায়া দেবী। যা আজ পর্যন্ত কোনও মহিলা পারেননি, সেই ৪০০ বছর পুরনো মথুরার রাধারানি মন্দিরে পুরোহিতের কাজ পেয়েছেন মায়া। যেহেতু তিনি মন্দিরে প্রথম মহিলা পুরোহিত ছিলেন,সেজন্য পুরোহিত হওয়ার আগেই এলো বাধা। তাও আবার নিজের পরিবার থেকেই। মায়ার পুরোহিত হওয়ার বিরোধিতা করে আদালতে গেলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
গত ৪০০ বছর ধরে রাধারাণী মন্দিরে পুরুষ পুরোহিতরাই পুজো করে আসছেন।মে মাসে মন্দিরের পুরোহিত হিসাবে আসেন মায়া দেবী। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। মায়ার দেবীর স্বামী হরিবংশ লাল গোস্বামী, যিনি ছিলেন রাধারানি মন্দিরের পুরোহিত। তাঁদের কোনও সন্তান না থাকার কারণে হরিবংশের অবর্তমানে মন্দিরের পুরোহিত হিসাবে দায়িত্ব পরে মায়া দেবীর উপর। আর ঠিক এরপর থেকেই শুরু হয় সমস্যা।
আসলে হরি বংশ লাল গোস্বামী দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন মায়া দেবী,প্রথম পক্ষের স্ত্রীয়ের তরফ থেকে পুরোহিত হওয়াতে বাঁধা পেয়েছেন মায়া দেবী। তাঁরা মায়া দেবীকে প্রতারক বলে অভিযোগ করেন এবং আদালতের কাছে দ্বারস্থ হন। মায়ার আত্মীয় হলেন রাসবিহারী গোস্বামী। আর এই রাসবিহারী গোস্বামীর অনুগামীরা মহিলা পুরোহিতের বিরুদ্ধে মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের দাবি ঠাকুর দর্শন, প্রসাদ বিতরণ থেকে মন্দিরের তহবিল গঠন সমস্ত কিছুতেই একা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মায়া। এই সমস্ত বিষয় ঘিরেই তাদের ঘোর আপত্তি।