Let your mind start a new journey thru a strange new world. Leave all thoughts of the world you knew before. Let your soul take you where you long to be….close your eyes let your spirit start to soar, and you will live as you have never lived before.
আজ মনটা কেমন উরু উর করছে, মনে হচ্ছে এই মোহ মায়ার পৃথিবী থেকে চলে যায় বহু দূরে তেপান্তর পেরিয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে এক অন্য পৃথিবীতে অন্য জগতে। যেন আমি এ পৃথিবীর কেউ নই, এ পৃথিবীর বন্ধন মায়া ত্যাগ করে এক অভূত জগতে হারাতে চাই। কিন্তু তা সম্ভব কিভাবে? এই ভাবতে ভাবতে কাজের চাপ থেকে কিছুটা বিরতি নিতে চলে গেলাম সমুদ্রে ঘুরতে, কালই এসেছি রাধানগর বিচে, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে। আমি ভবঘুরেই বলা চলে একাই ঘুরে বেড়াই মাঝেমধ্যেই। রাধানগর বিচ্টা ভালোই চুপচাপ আমি ছাড়া আর হাতেগোনা বোধহয় চার কি পাঁচ জন হবে। ছোট থেকেই ভালো সাঁতার জানি তাই আর ঢেউয়ের লোভ সামলাতে পারলাম না গা ভাসিয়ে দিলাম। তারপর যে কোন জগতে হারিয়ে গেলাম আজ সেই গল্পই বলবো।
জানিনা মনের ভুল কি অদ্ভুত কি সত্যিই কি রূপকথা কিছুই জানিনা তবে জানি কি ঘটেছিল। ঢেউ এর স্রোতে ভাসতে ভাসতে হঠাৎই দেখা মিলল ডলফিনের। রাধানগর বিচ -এ ডলফিন আছে তা শুনেছিলাম কিন্তু দেখা মিলেনি বেশ কয়েক দশক। আর তারপরেই শুরু হল সেই অভূতপূর্ব ঘটনাগুলো যার কোন যুক্তি আমার কাছে নেই। কাউকে বললে হয়তো বিশ্বাস করবে না। ডলফিন এর সাথে তার পিঠে করে পৌঁছে গেলাম পেন্ডোরার জগতে। সেখানে রয়েছে এক অন্য জগৎ, নাবিকদের জগত। তারা মানুষ নয় অদ্ভুত কিছু প্রাণী, যার বর্ণনা বাস্তবে কোন প্রাণীর সাথে মেলে না। মানুষের মতো হাত পা মুখ চোখ নাক সব থাকলেও কান দুটো অদ্ভুত বড় বড় সাথে একটা লম্বা লেজ ও রয়েছে। ওরা মানুষের ভাষা বোঝেনা ইশারা ইঙ্গিতে যেন ওদের একটা সম্পূর্ণ আলাদা জগত, প্যানডোরা। ডলফিনটা আমায় তার নিজের ভঙ্গিতে তাদের প্যান্ডড়ার জগতে স্বাগত জানালো। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওদের ইশারা ইঙ্গিতের অঙ্গীভঙ্গিতে যা বুঝলাম ওরা আমাকে দেখে ভয়ে ত্রস্ত। যেন আমি ওদের সবচেয়ে বড় শত্রু ওদের জগৎটাকে নিঃশেষ করে দেব। ওদের প্যান্ডোরার একজন রাজা রয়েছে জ্যাক সালি। সে মানুষের ভাষা বোঝে এবং তার কথাবার্তায় যা বুঝলাম মানুষ তাদের প্রধান শত্রু তাদের এই জগত তাদের এই প্যান্ডোড়া নিঃশেষ করতে চায় কারণ এখানে এমন একটা তরল রয়েছে যা মানুষের যৌবনকে ধরে রাখবে, অমর করে রাখবে মানুষকে। মানুষের সাথে এদের যুদ্ধ আজীবন সে নিয়ে এদের ভয় নেই এরা মানুষকে পরাজিত করে দেবে। তবে এখন এক কালো ছায়া ভর করেছে এই প্যান্ডরায়। তারা বুঝতে পারছে এই কালো ছায়া প্রকৃতির মায়াজাল নয় এক অশুভ শক্তি, তাদের আশঙ্কা হয়তো এই কালো ছায়ায় তাদের অস্তিত্ব বিনাশ করে দেবে, যার পূর্বাভাস তারা পেতে শুরু করে দিয়েছে।
তাদের জগত তাদের পৃথিবী সবটাই এই প্যান্ডোরার সমুদ্র। আর তাদের প্রাণের প্রিয় তুংফু মাছ। হঠাৎই এক অদ্ভুত পিশাচিনীর আগমণে তাদের তুংফুর মৃত্যু হচ্ছে। আর তুংফু ছাড়া তাদের প্রাণ নিথর। তাদের কিছুক্ষণের অতিথি হয়েও এই সমস্যা শুনে মনটা বড় ব্যাকুল হয়ে উঠলো এর সমাধান না পেলেই নয়। তাই এই সমস্যার মূল অবধি আমাকে যেতে হবে তৎক্ষণাৎ জ্যাক সালীর সঙ্গে আলোচনায় বসলাম পিশাচিনীর আবির্ভাবস্থল খুঁজে বার করতে হবে। জ্যাক সালী বলল এ আবার এমন কি তারা ইতিমধ্যেই জানে পিশাচিনী হল তারানাথ তান্ত্রিকের এক পুকুরের জলপিশ্চাচ। কিন্তু হঠাৎই তার কালো ছায়া এই প্যান্ডেরায় পড়েছে। তৎক্ষণাৎ মাথায় বুদ্ধি খেললো নিশ্চয়ই সেই পুকুরে এমন কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে যার জন্যই পিশাচিনী এখানে এসেছে। জ্যাক সালিকে বললাম তোমার জগত তোমার প্যানডোরা কে বাঁচাতে হলে শীগ্রই যাও সেই পুকুরে। সেখানেই তোমার সমাধান লুকিয়ে আছে। আর দেরি না করে তৎক্ষণাৎ ডলফিন এর পিঠে চড়ে রওনা দিল তার গন্তব্যে ইতিমধ্যে আমি জ্যাক সালির পরিবার এবং তাদের এই প্যান্ডোরাকে চিনতে থাকলাম।
বেশ কিছু সময় পর জ্যাক শালির আবির্ভাব এবং জানতে পারলাম সঙ্গে এসেছে তরানাথ তান্ত্রিক। এবার নিশ্চিন্ত হলাম তারানাথ তান্ত্রিককে আমরা কম বেশি সবাই চিনি তার ওপর আমার পুরো আস্থা রয়েছে। এরপরই তারানাথ তান্ত্রিক তার তন্ত্র বিদ্যা দিয়ে সেই জলপিশ্চাচকে বন্ধন করল সাথে সাথেই সেই কালো অভূত ছায়া কেটে গেল প্যান্ডোরা থেকে। তারপর যখন আমার জ্ঞান ফিরলো তখন আমি রাধানগর বিচের এক প্রান্তে পড়ে আছি। জানিনা সেদিন আমার সাথে কি ঘটেছিল কেন ঘটেছিল কেনই বা অভূতপূর্ব ঘটনা গুলো আমার সামনে এসেছিল তা কি সত্যি না কল্পনা নাকি সমুদ্রের তলদেশে সত্যিই এক পান্ডোরা আছে।