জীবনযুদ্ধ শেষে এবার অমৃতলোকে পাড়ি জমালেন বাম রাজনীতির অন্তিম নক্ষত্রসম এবং বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বহুবছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি, তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাঁর। চিকিৎসককেও খবর দেওয়া হয় তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ২০ নাগাদ পাম অ্যাভিনিউয়ের নিজ বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ।বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শবদেহ ১২ টা বেজে ৩০ মিনিট পর্যন্ত পাম অ্যাভিনিউতে রাখার পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পিস ওয়ার্ল্ডে। রাতভর সেখানেই রাখা ছিল দেহ। এর পর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মুজফ্ফর আহমেদ ভবনের উদ্দেশ্য শব বাহী গাড়ি রওনা দেয়। এর পর নীলরতন সরকার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। তথ্যসূত্র মতে গবেষণার জন্য নিজদেহ দান করে গেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । “বিজ্ঞানে মিলায় বুদ্ধ! গবেষণায় দেহদান” — এর প্রেক্ষাপটেই জানানো হয়, “ বুদ্ধবাবুর দেহ দান করা ছিল। সেই মতোই সমস্ত প্রক্রিয়া হবে “।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জীবনাবসানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বুদ্ধদেব বাবুর পরিবারের সাথেও কথা বলেন । মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে জানান এই মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি।
বুদ্ধাবসানে শুধু রাজনৈতিক বোধ সম্বন্ধীয় মানুষ বা তাঁর অনুরাগীরাই নয় , উপস্থিত ছিলেন নানান ক্ষেত্রের গুণীজনেরা । প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি জানান, “আমার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হত। আমি তখন ক্যাপ্টেন ছিলাম। যতবারই কথা হয়েছে, ক্রিকেট নিয়েই উনি কথা বলে গিয়েছেন। শুধু সমকালীন ভারতীয় ক্রিকেট নয়, পঙ্কজ রায়ের ব্যাটিং নিয়েও আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। খেলা পাগল মানুষ ছিলেন।”
সব স্মৃতি নিয়ে না ফেরার দেশে পারি দিলেন বুদ্ধদেব, রেখে গেলেন আগামীর কাছে এগিয়ে চলার মন্ত্র।