আবারও অমানবিক অত্যাচারের স্বীকার শ্রমিকদল, ইট ভাটায় বন্দি করে শ্রমিকদের উপর চালানো হত মধ্যযুগীয় বর্বরতা। এমনই এক অভিযোগ ধরা পড়লো বিহারের মোতিহার জেলায়। রাতদিন খাটার পরও তাদের থাকতে হতো খালি পেটে। উল্টে প্রাপ্য টাকা চাইলেই পরিবারের লোককে নিয়ে চলত টানাটানি। বিহারের মোতিহারির এই ঘটনা সামনে আসতেই উঠেছে নিন্দার ঝড়।তদন্তে নেমে এই ঘটনায় আক্রান্ত ৩৭ জন শ্রমিককে সম্প্রতি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা ১২ জন পুরুষ এবং ১২টি শিশু রয়েছে।
পুলিশ সুপার কুমার আশিস এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জানিয়েছেন, এই শ্রমিকদেরই একজন কোনও ভাবে যোগাযোগ করেন তাঁর সাথে। তারপরই ইটভাটার বাকি শ্রমিকদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। পুলিশকে ওই শ্রমিক জানিয়েছিলেন, তাঁদের উত্তরপ্রদেশের আমরোহা, মুরাদাবাদ এবং সম্ভল জেলা থেকে জোর খাটিয়ে আনা হয়েছিল । তারপর থেকেই তাঁরা ইটভাটায় বন্দি। আরও বলেন ‘‘রাত দিন খাটার পরও তাদের না খাইয়ে রেখে দেওয়া হত। খাটুনির টাকা চাইলেই পরিবারের সদস্যদের উপর চড়াও হত ওরা। শুধু চড়াও নয়, মহিলাদের যথেচ্ছ মারধর এবং অশ্লীল ব্যবহার করা হতো। খাবার এমনকি পানীয় জলও পান না তাঁরা। শিশুরা অসুস্থ হলে দেওয়া হত না ওষুধটুকুও।তাদের দাবী অনুযায়ী এই সবই হত ইটভাটার মালিক নিতেশ্বর মিশ্রের উপস্থিতিতেই।’’
ওই শ্রমিকের অভিযোগের ভিত্তিতেই, ইটভাটাই হানা দেয় পুলিশ। নিতেশ্বরকে ডাকা হয় থানায়, শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।মঙ্গলবার শ্রম দফতর-এর জেরার পরই এফআইআরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। অন্য দিকে, ইট ভাটায় বন্দি ৩৭ জনকে উদ্ধার করে পারিশ্রমিকের প্রাপ্য মূল্য ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ প্রশাসন।