একের পর এক নক্ষত্র পতন ভারতীয় সঙ্গীত জগতে। এবার আরও এক বিশিষ্ট শিল্পী যার সন্তুর উপর দক্ষতার জন্য ‘সন্তুর সাধু’ এবং ‘তারের রাজা’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, সন্তুর ওস্তাদ ভজন সোপোরি প্রয়াত হলেন।
ধ্রুপদী সঙ্গীত জগতের এই কাশ্মীরি শিল্পীর জন্ম ১৯৪৮ সালে। এই শিল্পীর বাজানো সন্তুরের আওয়াজ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রোতাদের মন জয় করার পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। এবং খুব অল্প সময়ে শ্রোতাদের মন জয়ী হওয়ার একটি বিশেষ কারন হল এই শিল্পীর পরিবারের ছয় প্রজন্মই সন্তুরের একনিষ্ঠ সাধক।
বৃহস্পতিবার গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ফর্টিস হসপিটাল এ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে ক্যান্সার এবং নানান রোগ জনিত সমস্যার কারনে বেশ কিছুদিন ধরে ফর্টিস হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় ধ্রুপদি সঙ্গীতকে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করে তোলার পক্ষে এই শিল্পীর অবদান অনস্বীকার্য। তাই এর জন্য ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান এ সন্মানিত করেন ২০০৪ সালে। এছাড়াও তিনি ১৯৯২ সালে সঙ্গীত নাটক একাডেমী অ্যাওয়ার্ড পান। এবং ২০০৯ সালে বাবা আলাউদ্দিন খান পুরস্কার ও ২০১১ সালে এমএন মাথুর পুরস্কার পান।
পর পর এমন কিছু শিল্পীর মৃত্যু, যারা ভারতীয় সঙ্গীতকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে গিয়েছিল তাদের অকাল প্রয়ানে গভীরভাবে শোকাহত সমগ্র ভারতবাসী।