একদিকে ফুটবলের গোল অন্যদিকে ব্যাট হাতে ছক্কা, এককথায় অলরাউন্ডার এলিস পেরি। শুধু ক্রিকেট, ফুটবল নয় গল্ফ, টেনিস, অ্যাথলেটিক্স এবং টাচ ফুটবল সবেতেই সর্বেসর্বা সে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির শহরতলিতে ওয়ারুঙ্গায় এলাকায় বেড়ে ওঠে এলিস পেরি।
বিশ্বক্রিকেটে এলিস অন্যতম বড় নাম। কম বয়সেই নিজের লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছিলেন। তবে ক্রিকেটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলেও কিশোরী এলিসের অভিষেক ঘটেছিল প্রায় একই সময়ে। তখন তাঁর বয়স মাত্র ষোলো। সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ষষ্ঠ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ফাইনালে তাদের হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এলিসের অস্ট্রেলিয়া। এখন তিনি ব্যস্ত ভারতে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ খেলতে। প্রথম ম্যাচে জয়ের স্বাদ না পেলেও প্রায় ষোলো বছরের ক্রিকেটীয় জীবনে অজস্র সাফল্য পেয়েছেন এলিস। ৩২ বছরের এলিস ১০টি টেস্টে ৭৫.২০ গড়ে ৭৫২ রান করেছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ২১৩। সঙ্গে ৩৭টি টেস্ট উইকেট।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দলের সেরা গোলটি ছিল মিডফিল্ডার এলিসের। যদিও সে ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও এলিসের গোলের স্মৃতি আজও অনেকের কাছে ধূসর হয়নি। এক কথায় বহুল প্রতিভাধারী এক নারী ক্রীড়াবিদ এলিস পেরি।