গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তে সরগরম দেশ – বিদেশের রাজনৈতিক মহল। প্রথমে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক চুক্তি, পাকিস্তানের মাটিতে নতুন করে নিউক্লিয়ার প্লান্ট তৈরি করার অঙ্গিকারে বেজিং সরকার, বাইডেনের সঙ্গে করমর্দনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সব শেষে, এখনও পর্যন্ত, মিশরের সঙ্গে দিপাক্ষিক চুক্তি ভেঙে কুটনৈতিক সম্পর্কে সাক্ষর। এ সবের মাঝেই গতকাল হোয়াইট হাউসে পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করলে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার কড়া সুরে বলেন,’লস্কর-ই-তাইবা ও জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে যতো দ্রুত সম্বভ পাকিস্তানের মাটি থেকে নির্মূল করতে হবে পাকিস্তান সরকারকে। আমেরিকা আগেও সর্ব ছিল, এখনও এই বিষয়ে ইসলামাবাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা থেকে পিছু হটবে না বাইডেন সরকার।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জো বাইডেনের করমর্দন মোটেও ভালো চোখে দেখছে না শাহবাজ শরিফের পাকিস্তান সরকার। এটি যে কুটনৈতিক অরাজকতা, এ হেন যুক্তিতেও সমালোচনা করতে পিছপা হননি তাঁরা। তবে এ সবে কোন পাত্তা না দিয়ে মার্কিন মুখপাত্র বলেন,’বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে সর্বদাই তৎপর আমেরিকা। সীমান্ত পারের সন্ত্রাসবাদ, ছায়াযুদ্ধ ও নানান অনৈতিক বিষয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধিকে একেবারেই প্রাধান্য দিতে নারাজ জো বাইডেনের এই অত্যাধুনিক সরকার।’