লড়াই দেখে কার্যত এমনটাই অনুমান করছেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা। সতেরো ম্যাচে একত্রিশ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই থেকে গেল হুয়ান ফেরান্ডোর সবুজ মেরুন বাহিনী। গত আট ম্যাচে জয় অধরা থাকা ওডিশার কাছে গতকাল রীতিমতো নাস্তানাবুদ হওয়ার পর একাংশেরই দাবি,’ফের একবার হয়তো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে!’ গতকাল এক – এক গোলে ম্যাচ ড্র হওয়ার পর তো তুমুল সমালোচনায় মেতে ওঠেন সমর্থকরা। কেউ নেটমাধ্যমে লিখেছেন,’এই রকম ছন্নছাড়া আর পরিকল্পনাহীন ফুটবল খেললে, চ্যাম্পিয়নস্ লীগে অংশগ্রহণ না করাই ভালো। শুরু থেকেই একজন পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাব বোঝা গিয়েছিল। হুগো বুমোস প্লে মেকার হলেও রয় কৃষ্ণা নয়।’ কেউ আবার কটাক্ষ করে বলছেন,’দলটি অপয়া, তাই বারবার শেষ পর্যন্ত অসফল হচ্ছে!’গত দু’বছর আগেও, একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে চ্যাম্পিয়নস্ লীগ খেলার সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে এটিকে মোহনবাগান। সেই বছর বাজিমাত করেছিল গোয়া। এমনকি গত বছর মুম্বাইয়ের কাছে মুখ থুবড়ে পড়া, আর ২০২২ সালেও সেই আশঙ্কাই দেখা দিচ্ছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক, ক্লাব তাঁবুর এক কর্মকর্তা নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানান,’কোচকে দোষারোপ করে কোন লাভ নেই। অতীতে হাবাসও একজন ভালো কোচ ছিলেন এবং বর্তমানে, এফসি গোয়া থেকে আসা হুয়ান ফেরান্ডোও একজন যথেষ্ট ভালো কোচ। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে অন্দরমহলের পলিটিক্সে। কোচকে পুরো স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বাধ্য হচ্ছেন, বারংবার ব্যার্থ খেলোয়াড়দের মাঠে নামাতে। আর তার ফল তো সকলের সামনেই!’এখন প্রশ্ন একটাই, যে ভাবে বর্তমানে খেলছে এটিকে মোহনবাগান, চ্যাম্পিয়নস্ লীগের টিকিট তো দূর অস্ত, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামী আইএসএল দল, আদোও কাপটা জিততে পারবে তো?