ডাক্তারদের গাফিলতির জন্য আবারও মারা গেলেন বেসরকারি হাসপাতালের এক রোগী।জয়পুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর রোগীর দেহেই রয়ে যায় কাঁচি।
রোগীর নাম উপেন্দ্র শর্মা।গত ২৯ মে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে জয়পুরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরের দিন ৩০ মে থেকে রাত ৮.৩০ থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অপারেশন হয় উপেন্দ্র শর্মার এবং দেড়টা নাগাদ তাঁকে কেবিনে দেওয়া হয়।৩১ মে যথারীতি তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।তবে বাড়ি নিয়ে আসার পরই ঘটে আরেক ঘটনা, শরীরের অবনতি ঘটতে থাকে উপেন্দ্রবাবুর।উপেন্দ্রবাবুর শারীরিক অসুস্থতার কথা হাসপাতালে চিকিৎসকদের জানানো হলে,তাঁরা আশ্বাস দেন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি।তবে সুস্থ হননি তিনি।গত ১২ জুন মৃত্যু হয় তাঁর।
আসল ঘটনা সবার সামনে আসে দেহ সৎকারের সময়,উপেন্দ্রবাবুর চিতা ভস্মের মধ্যে দিয়ে পাওয়া যায় কাঁচি।মৃতের পরিবারের সদস্যরা তখন পুরো ঘটনাটি হাসপাতালে জানালে অভিযোগ অস্বীকার করেন কর্তৃপক্ষ।বাধ্য হয়েই উপেন্দ্রবাবুর পরিবার থানায় এফআইআর দায়ের করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়,অস্ত্রোপচারের সময়ই ওই কাঁচি তাঁর শরীরে রয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকদের চূড়ান্ত গাফিলতির জেরেই ঘটেছে এই ঘটনাটি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতের পরিবারের এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেন।