অতিমারির হাতছানি কাটিয়ে দু বছর পর বঙ্গে শুরু হলো দুদিনের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। বুধবার নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ১৯টি দেশের ২৫০ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উদ্বোধন হয় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের।
বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের উদ্বোধনী অনষ্ঠানে বসেছিল চাঁদের হাট, দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের সাথে উপস্থিত ছিলেন গৌতম আদানি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষবর্ধন নেওটিয়াদের মতো শিল্পপতিরা। একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবার সরকারের লক্ষ্য শিল্প ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের আহ্বান জানান পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের জন্য। আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি বাংলায় ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও আধুনিক গবেষণায় টিসিজি র পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় কয়েক হাজার কোটি লগ্নি ঘোষণা করেন।এছাড়াও জেএসডব্লিউ র পক্ষ থেকে সজ্জন জিন্দল ৯০০ মেগাওয়াট পাম্পড স্টোরেজ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইস্পাত শিল্পের রোল শপ, রাজারহাটে বেঙ্গল মিউজিয়াম ঘোষণা করেন।রাজারহাটে ৫০ একর জমির উপর উইপ্রোর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আবার ডেটা সেন্টার থেকে শুরু করে ওয়্যারহাউজিং পার্ক এর ঘোষণা করেন যথাক্রমে উইপ্রোর পক্ষ থেকে ঋষাদ প্রেমজি এবং হীরানন্দানি গোষ্ঠীর নিরঞ্জন হীরানন্দানি। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেছেন, বাংলা লগ্নির আদর্শ জায়গা, পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক হাব হল বাংলা।
দেশ বিদেশের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলার পরে যে শিল্পগুলিতে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলিকে লক্ষ্য করেছে রাজ্য, তার মধ্যে কৃষিভিত্তিক শিল্প, মাছ চাষ, ডেয়ারি, পোল্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিষয়েও আগ্রহ দেখাচ্ছে সরকার। সরকার আশাবাদী, আগামীদিনে কমপক্ষে দেড় কোটি কর্মসংস্থান হতে চলেছে বাংলায়।