একটি স্কুল সম্পূর্ণ হয় ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকা উভয়কে নিয়েই | কিন্তু হঠাৎই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলি হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে | স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে একাধিক চিঠি এই বিষয় নিয়ে এসেছে, বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে |
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবর যে সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে পুরুলিয়া জেলার জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছ থেকে ছাত্র শিক্ষকের অনুপাতের তথ্য চাওয়া হয়েছে | এর পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন জেলাগুলি থেকেও একই তথ্য চেয়েছে শিক্ষা দফতর |
সূত্র অনুসারে খবর গত বছরের আগস্ট মাস থেকে এই বছরের সেপ্টেম্বর মাস অবধি সারা রাজ্য জুড়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলি হয়েছে | এর মধ্যে কুড়ি হাজার শিক্ষক বদলি হয়েছেন উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে এবং বাকি পাঁচ হাজার শিক্ষক বদলি হয়েছে মিউচুয়াল ট্রান্সফার এর মাধ্যমে | এছাড়াও সূত্র মারফত খবর স্কুল শিক্ষা সচিব মনিশ জৈন যে রিপোর্ট চার মাস আগে চেয়েছিল তা করা হয়নি পরে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে সেই তথ্য সম্পন্ন করা হয়।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী , সাধারণত যে অনুপাত থাকার কথা ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে তার থেকে অনেকটাই ঘাটতি পড়েছে এই বর্তমান অনুপাত। এই ঘাটতি সংখ্যা প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে আরো বেশি দেখা গেছে, তবে এই ঘাটতি কিভাবে মেটানো যায় বা এই ঘাটতি মেটানোর কোন পথ বা উপায় আছে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলাপ আলোচনা শুরু করেছে দপ্তরের আধিকারিকরা | এই ঘাটতির ফলে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষায় যে প্রভাব পড়ছে বা তাঁদের পড়াশোনায় যে ব্যাঘাত ঘাঁটছে সেটি সত্যি একটি ভাবনার বিষয় |