নেতৃত্ব এবং সংকল্পের একটি অসাধারণ প্রদর্শনে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি, তুর্কি সরকারের সহযোগিতায়, বিদেশে বন্দী ইউক্রেনীয় নাগরিককে উদ্ধারের জন্য একটি অসাধারণ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আগের বছর মারিয়ুপোলের সেনাঘাঁটিতে তাঁদের বন্দি করেছিল রাশিয়া। এই অভূতপূর্ব পদক্ষেপটি ইউক্রেনীয় নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে, এই জটিল পরিস্থিতিতেও।
দিমিত্রি পেসকোভ( ক্রেমলিনের মুখপাত্র ) ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান আঙ্কারার ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের তুরস্কেই রাখা হবে। গত বছর ইউক্রেনকে যুদ্ধের কয়েক দিনের মধ্যেই রাশিয়া দখল করে। মারিয়ুপোলের যুদ্ধে অসংখ্য মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে হয়। তখন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে আটক করা হয়। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে যব্দ হওয়ায় আজভস্টল ইস্পাত কারখানার নীচে টানেলে আশ্রয় নিয়েছিল ইউক্রেনের বাহিনী, সাথে সাথে সাধারণ মানুষও সেখানে আশ্রয় নেয়।বন্দী ইউক্রেনীয় নাগরিক, যার পরিচয় নিরাপত্তার কারণে গোপন করা হয়েছে, তাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে একটি বিদেশী দেশে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এই যুদ্ধকালীন সময়ে কিভ সরকারের পক্ষ থেকে বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তুর্কি কর্তৃপক্ষের সমর্থন ও সহায়তায় পরিচালিত এই কাজ ইউক্রেন এবং তুরস্কের মধ্যে সহযোগিতার একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরী করে। এই যৌথ প্রচেষ্টা শুধুমাত্র তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কই মজবুত করেনি বরং মানবিক সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য একটি নতুন নজিরও স্থাপন করেছে।
তুর্কি কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করে, রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি একটি সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত অভিযান পরিচালনা করেছিলেন যা কূটনৈতিক আলোচনা, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং কৌশলগত দক্ষতার সমন্বয়ে ছিল। গত শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ানের সঙ্গে দেখা করেন জ়েলেনস্কি। জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘তুরস্ক থেকে ঘরে ফিরছি। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি দেশের হিরোদের।’’ কি ভাবে তিনি এই কাজ করলেন তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি।
অসাধারণ উদ্ধার অভিযান দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসা ও প্রশংসার বেড়ে উঠেছে। মুক্ত পাঁচ ইউক্রেনীয় সেনা কম্যান্ডার হলেন— ডেনিস প্রোকোপেনকো, শ্বেতোস্লাভ পালামার, সেরি ভলিনস্কি, ওলে কোমেনকো, ডেনিস শ্লেহা। জ়েলেনস্কি জানান যে ‘‘অবশেষে পরিবারের সকলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন ওঁরা।’’এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ক্রেমলিন, দিমিত্রি পেসকোভ( ক্রেমলিনের মুখপাত্র ) ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান ‘‘ওই সেনাদের তুরস্ক থেকে ইউক্রেনে ফেরা, সরাসরি চুক্তিভঙ্গ। চুক্তির যা যা শর্ত ছিল, তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। ইউক্রেন এবং তুরস্ক, দু’পক্ষই সেটা করেছে।’’যদিও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান ‘‘আমার মনে হয় না নেটোয় যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ইউক্রেন।’’