সামনেই কালীপুজো, আর কালীপুজো মানেই বাজি। তবে লাইসেন্সের সরকারি পোর্টাল বন্ধ হওয়ার কারণে এখনো পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না বাজি বিক্রির ফায়ার লাইসেন্স। এমনকি এই সমস্যার মুখে পড়ে চলতি বছরে বাজি বাজারই বসেছে না শহীদ মিনারে। আসলে এবারে বাজির বাজার না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘বড়বাজার ফায়ারওয়ার্কস ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
অন্যান্য বছর শহরের পাঁচটি বাজার- টালা, বেহালা, শহীদ মিনার, কালিকাপুর ও বিজয়গড়েও বাজি বাজার বসেছে। বাজারগুলি পুলিশের তত্ত্বাবধানে বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কারণ শুধুমাত্র এই বাজির দোকানগুলিই বৈধ বাজার ধরে নিয়ে বাকি সব বাজি বাজার নিষিদ্ধ করা যাবে খুব সহজেই। এই বাজারের বাইরে যে কোন দোকানে আটকানো যাবে নিষিদ্ধ বাজির বিক্রি। কিন্তু এইবার বাজির বাজার বসানোর বিষয়টি থেকে পিছিয়ে এসেছেন বিজয়গড়ের বাজার কর্তৃপক্ষও।
পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর মান্নার কাছ থেকে জানা গিয়েছে, এলাকার সমস্ত মানুষের কাছে বৈধ বাজি পৌঁছে দেওয়ার ভাবনা ছিল যে কারণেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বাজার বসানো হয়েছিল। যাতে সাধারণ মানুষ নিষিদ্ধ বাজির দিকে না ঝোঁকেন। কারণ এবারে বৈধ বাজির সংখ্যা কম তাই পুলিশের কাজও হবে কঠিন। তাই প্রথম থেকেই যদি প্রশাসন পরিকল্পনা করতেন তাহলে এমন পরিস্থিতি হয়তো হতো না।
প্রসঙ্গত এই বাজি নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকও করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হয় এমন শব্দবাজি নিষিদ্ধ ও সবুজ বাজি পোড়াতে হবে। কেউ যদি কোন রকম অবৈধ বাজার তৈরীর খবর দিতে পারে তাকে ৫০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। পরপর দুবছর করোনার কারণে সব নষ্ট হয়েছে। এবারে বাজার বসালেও আদৌ সবুজ বাজির জোগান কোথা থেকে দেবে তা কেউই জানে না। বাজারে স্টল দিয়ে এবারেও ক্ষতি হলে আর সামলানো যাবে না।