অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা জারি করার পরে বছর ঘুরে গেলেও নানা বাঁধার সৃষ্টির কারনে তা শুরুই করা যায়নি । ফলে সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষোভ জমতে থাকায় এ বার নড়েচড়ে বসলো সরকার।বাণিজ্যিক লাইসেন্স নিয়ে জটিলতার কারণে দীর্ঘ দিন বাইক ও ট্যাক্সিচালকদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। তাঁদের নাম-পরিচয় নথিভুক্ত না-থাকায় পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠান যাত্রীরা।
পূর্বে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা একসঙ্গে ১৫টি বাইকের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করলেও তাতে সমস্যা মেটানো যায়নি। সম্প্রতি অ্যাপ-ক্যাব এবং বাইক-ট্যাক্সির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সেখানেই বাইক-ট্যাক্সিকে এককালীন এক হাজার টাকার বিনিময়ে পাঁচ বছরের লাইসেন্স দেওয়ার কথা জানান তিনি।শুক্রবার বাইক-ট্যাক্সি নিয়ে নির্দেশিকা জারির পরে দ্রুত অ্যাপ-ক্যাব নিয়ে উদ্যোগী হতে চলেছে পরিবহণ দফতর।শুক্রবার পরিবহণ সচিবের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগরে বাইক-ট্যাক্সির লাইসেন্স দেওয়া হবে। এআইইউটিইউসি-র বাইক-ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা শান্তি ঘোষ এ দিন সরকারি এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। চালকদের শিবির করে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন তিনি।
বাইক-ট্যাক্সি নিয়ে নতুন নির্দেশিকায় অ্যাপ-ক্যাবের ক্ষেত্রে এক বছর আগে জারি হওয়া নির্দেশিকা বলবৎ রেখে, আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। ক্যাব সংস্থাগুলির কলকাতায় নিজস্ব কার্যালয় থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানান মন্ত্রী। যাতে কোনো অভিযোগ থাকলে সেখানে জানানো যেতে পারে। এছাড়াও সংস্থাগুলিকে হেল্পলাইন খোলার কথাও বলা হতে পারে নির্দেশিকায়।
যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে চালকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের না হলে ৩০ দিনের মধ্যেই তাঁদের আইডি আটকে ছাড়তে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। কিলোমিটার-পিছু ২৫ টাকা ভাড়া ধার্য করার দাবি উঠেছে চালক সংগঠনগুলির তরফে , এছাড়াও সংস্থার কমিশন ২০ শতাংশের মধ্যে রাখার দাবি করেছে চালক সংগঠনগুলি। সংস্থাগুলি সরকারকে ভাড়া ও পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য জানাতে সম্মত হয়েছে বলেও খবর।‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’ এবং ‘এআইটিইউসি’-র অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের পক্ষ থেকে ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় ও নওলকিশোর শ্রীবাস্তব সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।