একের পর এক শিশু মৃতুর খবর ক্রমশ উদ্বেগ ছড়াচ্ছে শহরে। প্রত্যেকটি শিশুর বয়স দু’বছরের নিচে।গত ২৪ ঘণ্টায় বি সি রায় শিশু হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মেলা এই খবরে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত, মাত্র চার দিনের ব্যাবধানে ১৩ জন শিশুর মৃত্যুতে চিন্তার ভাঁজ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের কপালেও।
কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও একটি শিশুর(নদিয়ার বাসিন্দা) মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, ব্রোঙ্কো নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুটির। এযাবৎ গত দু’মাসে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে পনেরো জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি বলে জানা যাচ্ছে। তবে শুধু ছোটদের না, বড়দের কারও জ্বর-সর্দি-কাশি, গলাব্যথা হলে অবশ্যই বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ, বড়দের থেকেই এই সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে ছড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অ্যাডিনো-য় সবচেয়ে সাবধানে রাখা দরকার ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের। চিকিৎসকদের মতে, যে শিশুদের বয়স দু’বছরের কম, তাদের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা বেশি। বয়স এক বছরের কম হলে ঝুঁকি আরও বেশি। সুতরাং এই বয়সী শিশুদের খুব সাবধানে রাখা উচিত, এবং জ্বর না কমলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ দিতে হবে।