বিএসএনএল এর পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনায় অপর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমটিএনএল কে সংমিশ্রণ করার প্রস্তাব ওঠে। কিন্তু দিল্লি মুম্বইতে পরিষেবা দেওয়া এই সংস্থার সাথে বিএসএনএল কে মেশাতে নারাজ বিভিন্ন কর্মী সংগঠন।
বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন বিএসএনএলইইউ এর দাবি, বিএসএনএল সংস্থা কর্তৃপক্ষ এমটিএনএল এর দায়িত্ব নিতে নারাজ। এমনকি সম্প্রতি একটি বৈঠকে ইউনিয়ন গুলিকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএসএনএল এর সিএমডি পি কে পুরওয়ার।
সংস্থা সূত্রের খবর, কেন্দ্র চাইছে পুনরুজ্জীবন প্রকল্পগুলি নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাক বিএসএনএল। যে কারণে সংস্থার সঙ্গে এমটিএনএল-কে সংযুক্ত করার প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য জোর দিচ্ছে তারা। বিএসএনএলইইউ-এর সাধারণ সম্পাদক পি অভিমন্যু জানান, এমটিএনএলের পুরো সম্পত্তি এবং দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন বলে বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন বিএসএনএল এর সিএমডি। তাঁর মতে, এমটিএনএল শুধু পরিষেবা চালু রাখার প্রয়োজনীয় যন্ত্র এবং আনুষঙ্গিক জমি বা বাড়ি হাতে নিতে পারেন। এ নিয়ে কর্মী সংগঠনগুলির কিছু বক্তব্য থাকলে তা তাদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে। যাতে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সচিবদের নিয়ে গড়া কমিটিকে তা জানানো যায়।
এমটিএনএল শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত রয়েছে। সংগঠনগুলির এটাও দাবি ছিল, বিএসএনএলের বিলগ্নিকরণের দরকার নেই। শেয়ার বাজার থেকে এমটিএনএলের নথিভুক্তি বাতিল করার পরেই বিএসএনএলে সেটিকে সংযুক্ত করতে হবে।
৪জি পরিষেবা নিয়ে ওই বৈঠকে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ সংগঠনগুলিকে জানিয়েছেন, সংস্থার পরিচালন পর্ষদ এক লক্ষ বিটিএসের (টাওয়ার-সহ আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো) প্রয়োজনীয় দেশীয় প্রযুক্তির যন্ত্র কেনার জন্য ২৪,৫৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যা কেন্দ্রের অনুমোদনের অপেক্ষায়। এগুলি ৫জি পরিষেবারও উপযুক্ত হবে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। তবে বিএসএনএলইউয়ের দাবি, বছর দেড়েকের আগে ৪জি পরিষেবা চালুর সম্ভাবনা নেই বলেই বৈঠকে ইঙ্গিত মিলেছে।
সংস্থা সূত্রের অবশ্য দাবি, পরে বিভিন্ন পরিষেবা অঞ্চলের (সার্কল) সিজিএমদের সঙ্গে সিএমডির বৈঠকে ৪জি পরিষেবার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পাঞ্জাবে একটি বিটিএসে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভাবে ৪জি শুরুর কথা ও জানা গেছে। ১৫ মার্চের মধ্যে ২০০টি বিটিএসে তা চালুর লক্ষ্য আছে বলেও খবর। কেন্দ্রের সায় মেলার পরে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পরিষেবা অঞ্চলে প্রয়োজনীয় যন্ত্র এলে গোটা পরিকাঠামো যাতে দ্রুত গড়ে ফেলা যায়, সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে সেখানে। এ বছর আরও কিছু জায়গায় ৪জি পরিষেবা শুরুর আশা দেখা যাচ্ছে।