গত বছরের সময়টা মোটেও ভাল যায়নি সার্বিয়ার তারকা নোভাক জোকোভিচের। করোনার টিকা না নেওয়ায় দুটো গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামতে পারেননি উনি। অস্ট্রেলীয়ায় পৌঁছেও তাঁকে দেশে ফিরতে বাধ্য করা হয়। আর এ বার তিনি সেই মেলবোর্ন পার্কেই দশ নম্বর ট্রফি জিতে রেকর্ড করেন। এছাড়া গত বার উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হলেও কোনোরকমের র্যাঙ্কিং পয়েন্ট পাননি তারকা। যুদ্ধের সময়ে গ্র্যান্ড স্ল্যামের আয়োজকেরা রাশিয়া ও বেলারুসের খেলোয়াড়দের মাঠে নামতে দেননি যুদ্ধের জন্য। যে জন্য এটিপি এবং ডব্লুটিএ কোনও র্যাঙ্কিং পয়েন্ট দেয়নি গত বারের উইম্বলডনে। তার পরেও বিশ্বের এক নম্বর স্থানে ফিরে আসাটা বড় কৃতিত্ব বলেই মনে করছেন ৩৫ বছর বয়সি সার্বিয়ার তারকা।
দুবাইয়ে টমাস মাখাচকে তিন সেটে হারানোর পরে জোকোভিচ বলেন ‘‘আমার মনে হয় বিশ্বের এক নম্বর হিসেবে এত কম পয়েন্ট আগে পাইনি’’। তিনি আরও জানান‘‘এটা শুধু আমার দুটো গ্র্যান্ড স্ল্যাম না খেলতে পারার জন্যই হয়েছে, তা কিন্তু নয়। অনেক খেলোয়াড়ই চোটের জন্য গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে পারেনি। আবার অনেকে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। এই কারণেই এই কৃতিত্ব আমার টিম এবং আমার নিজের কাছে অনেক বড় একটা ব্যাপার। টেনিসই আমার কাছে সবকিছু ,এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছি ,আমি সবসময় চেষ্টা করে যাই’’। এই নিয়ে ৩৭৮ সপ্তাহ ধরে বিশ্বের এক নম্বরের আসন ধরে রেখেছেন জোকোভিচ। দু’দিন আগেই তিনি ভেঙে দিয়েছেন জার্মানির কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফের সর্বাধিক ৩৭৭ সপ্তাহ ব্যাপী বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার কীর্তি।
তবে জোকোভিচ মনে করেন, এখন তিনি এক নম্বরে উঠে এলেও কার্লোস আলকারাজ় এবং স্টেফানোস চিচিপাসের মতো তরুণ খেলোয়াড়েরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে টানা খেলে কারনে এক সময় তাঁকে ধরে ফেলবেন র্যাঙ্কিংয়ে। জোকোভিচ এর মতে আমি তো এত বেশি প্রতিযোগিতায় খেলি না, সে রকম কোনও পরিকল্পনাও নেই। এক সময় ওরা বিশ্বের এক নম্বরের জায়গাটা দখল করে নেবে। আবার হয়তো আমিও এক নম্বরে উঠে আসব। আগামী দিনে এ ভাবেই চলতে থাকবে হয়তো ব্যাপারটা,’’ বলেছেন মধ্য তিরিশের সার্বিয়ার তারকা নোভাক জোকোভিচের।