গল্পের আসল ভিলেন কে? ঠিক কিবা তার অপরাধ? যদি শুরুতেই গল্পের ক্লাইম্যাক্স রিভিল হয়ে যায়, তাহলে কি গল্পের প্রতি কোনো রকম আগ্রহ থাকবে? কারণ টাইপের মিট্রিরিয়াস সিনেমার নিয়ম ধাপে ধাপে একে পর এক জট খুলতে খুলতে শেষে এসে গল্পের ক্লালমাক্স এ গিয়ে ফাঁস হবে গল্পের রহস্য। তবে হইচই এ মুক্তি প্রাপ্ত সিরিজ ব্যাধ কিন্তু এই ছক ধরে এগোয়নি, আর তাতে কিন্ত সিরিজের কৌতূহল এক ফোঁটাও কমেনি। এই সিরিজের গল্প এগোয়ে চড়াই পাখির খুনের তদন্ত নিয়ে। সিনেমার শুরুতেই ডিরেক্টর বেশি লুকো ছাপা না করেই খুনিকে সামনে নিয়ে চলে এসেছেন। তাহলে খুনি কেন খুন করছে এই বিষয়টাই হল সিরিজের মূল উদ্দেশ্য।
এই সিনেমার একটি অন্তত গুরুত্বপূর্ন সংলাপ হল ” খুন তো খুন ই তা মানুষ হোক বা চড়ুই”। আর এই সংলাপ ওপরই পুরো সিরিজটা দেখানো হয়েছে। ঠিক যেমন মানুষের সিরিয়াল কিলিং হয়, ঠিক তেমনই এই সিরিজে চড়াই পাখি খুন হয়েছে। তবে এই সিরিজে গল্পের নতুনত্ব এই সিরিজকে আলাদা করেছে সমস্ত সিরিজের থেকে। গল্পের জন্য বাহবা ও পেয়েছেন ছবির পরিচালক, তাছাড়াও এই গল্পের জন্য গল্পের লেখক রাজর্ষি দাশ ভৌমিক ও বাহবা পেয়েছেন। তার লেখা চড়াই হত্যা রহস্য থেকে নেওয়া হয়েছে এই সিরিজের গল্প। সব কটা এপিসোড খুব বেশি বড় নয়, যেখানে যতটা দরকার ঠিক ততটাই দেখানো হয়েছে সিরিজে টায়। আর এই জন্যই দর্শকের মন ও জয় করে নিয়েছে এই সিরিজ।
এই ছবিতে নিজের সেরাটা দিয়েছেন রজতাভ দত্ত , অনির্বাণ চক্রবর্তী ও সৌমেন বসু। রজতাভ দত্ত ও অনির্বাণ চক্রবর্তী এনাদের অভিনয় নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। আর এই দিকে সৌমেন বসু বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি করোর থেকে কম কিছু নন। পুলিশ হিসেবে তার অভিনয় দারুন। অভিনেত্রীর এই সিরিজে বিশেষ কিছু করার ছিল না, কিন্তু যতটুকু তাকে দেখানো হয়েছে ততটুকুই খুব ভাল করেছে অভিনেত্রী। একটা রহস্য গল্পের মধ্যেই দিয়েই পশু- পাখির প্রতি ভালবাসা যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে সিরিজের নেগেটিভ দিক ও রয়েছে, আর একটু খোলাসা করে দেখানো যেত, চড়ুই খুন রহস্য টা আরোও ভাল করে ফোটানো যেত, হত্যা কাণ্ডের চড়ুই গুলোকে আরও ভাল দেখানো যেতে পারত। তবে এই সব বাদ দিয়ে ব্যাধ সিরিজটা কিন্তু একটা দেখার মত একটা রহস্য মোড়া সিরিজ। যারা রহস্য রোমাঞ্চ নিয়ে সিরিজ দেখতে ভালবাসেন তারা অবশ্যই এই সিরিজ টা একদমই মিস করবেন না। সুতরাং ‘ব্যাধ’ ওরফে চড়ুই হত্যা কান্ড এককথায় খুব ভাল একটি দেখার মতো সিরিজ