সময়টি ছিল ২০৭০ সালের ভারতের বেশির ভাগ রাজ্য তথা বিভিন্ন শহর থেকে গ্রাম প্রায় সব জায়গা সবুজ স্বর্গে রূপান্তরিত হয়ে গেছে । দেশটি তে দূষণ এবং বর্জ্য পদার্থের কোনো চিহ্ন নেই বললেই চলে যা একসময় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল এবং শহরগুলিকে জর্জরিত করেছিল। সমস্ত শিল্প এবং ব্যবসা যাতে পরিবেশ বান্ধব হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
কলকাতার রাস্তাগুলির দুপাশে সারিবদ্ধ ভাবে গাছ ছিল এবং বাতাস ছিল একদম বিশুদ্ধ । শহরের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমগুলি বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা চালিত ছিল, এবং চারদিকে বৈদ্যুতিক চালিত যানবাহন ছিল । সোলার প্যানেলগুলি বেশিরভাগ বাড়ির ছাদে সঠিক ভাবে লাগানো আছে।
কোনো এক গ্রামে ভ্রমণ করার সময় আমার নজর এ পড়লো যে বিস্তৃত সবুজ মাঠ যতদূর অবদিই দেখি না কেন । কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে চাষাবাদ করছিল এবং কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছিল এবং নদীগুলির জল ছিল পরিষ্কার।
শহরগুলিতে লোকেরা একটি ভালো এবং স্বাস্থকর জীবনযাপন গ্রহণ করেছিল এবং বর্জ্যপদার্থ যেখানে সেখানে না ফেলে যথাস্থানে ফেলছে এবং কঠিন বর্জ্য গুলি কে পুনর্ব্যবহার করা হচ্ছে । সরকার অসংখ্য রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট তৈরী করেছিল যা বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।
আমি যখন নতুন দিল্লি গিয়েছিলাম সেখানে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করলাম যে বাচ্চারা পার্কে খেলছে যেগুলোর মধ্যে ভালো সংখ্যায় গাছ লাগানো রয়েছে । সরকার বিভিন্ন স্থানগুলিকে সবুজ এলাকায় রূপান্তরিত করেছে, যেখানে মানুষ আরাম করতে পারে এবং প্রকৃতি উপভোগ করতে পারে।
শিক্ষা ব্যবস্থারও একটি পরিবর্তন হয়েছে, যেখানে স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীদের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসের গুরুত্ব সম্পর্কে শেখানো হচ্ছে । শিক্ষার্থীদের বর্জ্য কমাতে এবং সম্পদ সংরক্ষণের জন্য উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসতে উৎসাহিত করা হয়েছিল।
ভারত একটি সুস্বাস্থ্যর এবং ভালো জীবনযাপনের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠেছে, এবং অন্যান্য দেশগুলিকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। দেশের এইরূপ রূপান্তর সহজ ছিল না । ভবিষ্যত উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল, এবং আমি এমন একটি দেশের নাগরিক হতে পেরে গর্বিত বোধ করছি যেটি একটি সবুজ বিশ্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।