ভবিষ্যৎতে বিদ্যুত উৎপাদন ক্রমশ খরচা সাপেক্ষ হয়ে যাবে। কয়লা ব্যবহারের ফলে গ্যাসের নির্গমণ হবে চার গুণ বেশি। অধিক ব্যাবহারের ফলে ভবিষ্যতে চাহিদাও বাড়বে আরো পাঁচ গুণ। কয়লার আমদানি বাড়তে থাকায় ভর্তুকি ও বাইরের অন্যান্য খরচা না ধরেও বিদ্যুতের খরচ প্রতি কিলোওয়াটে ৬ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। যার জেরে এক বিশাল সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
টেকসই অনুশীলন ও পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি হতে পারে ভবিষ্যতের এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। বা পাল্টে দিতে পারে দেশের মানচিত্র । পুনর্নবীকরন যোগ্য শক্তির মধ্যে জলবিদ্যুৎ অবশ্যই একটি বিকল্প। বায়ু ও সৌরশক্তিকেও বর্তমান ক্ষমতার সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে, অথচ পরিবেশের উপর চাপ পড়বে না।বায়ু থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ইতিমধ্যেই কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতিযোগী। সৌরশক্তি চালিত পাম্পের প্রধান তিনটি সুবিধা হল — ডিজেলের ব্যাপক সাশ্রয়, বৈদ্যুতিক গ্রিডের বাধ্যবাধকতা থেকে স্বাধীনতা এবং জলের সুদক্ষ ব্যবহার।
টেকসই অনুশীলন অর্থাৎ তিনটি ‘R’-এর নিয়মের মাধ্যমেও ভবিষ্যতের এক সুন্দর ভারতের বৈচিত্র্য গড়ে তোলা সম্ভব। জলের ও বিদ্যুতের সঠিক পরিমাণ ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্য ব্যাবহারের চেয়ে সহজে পচনশীল দ্রব্যের ব্যাবহার ও তার সাথে কাগজ, ধাতু, কাচ, প্লাস্টিক ইত্যাদির মতো উপকরণ সংগ্রহ করা যা থেকে অন্যান্য জিনিস তৈরি করা, যেমন একটিএকটি বর্জ্য প্লাস্টিকের বোতল থেকে একটি ফুলদানি তৈরি করা।
ভবিষ্যতে টেকসই অনুশীলন ও পুনর্নবীকরণ শক্তি এই দুটিকে একত্রে করা হলে ভারত তথা বিশ্বের এক মানচিত্র বৈশিষ্ট্য গড়ে উঠবে। টেকসই অনুশীলনের মাধ্যমে এক সু – পরিচ্ছন্ন ও সু গঠিত ভারতবর্ষ গড়ে উঠবে ও পুনর্নবীকরন শক্তির মাধ্যমে মানচিত্রে এক বিশাল ফারাক দেখা যাবে যেখানে গড়ে উঠবে পশুপাখিদের বসতি ও সবুজায়ন।