আগামী ১৫-১৬ ডিসেম্বর এর মধ্যে ওড়িশার উপকূলে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে অত্যাধুনিক অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য বঙ্গোপসাগরকে `নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করার পর থেকেই ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সন্দেহভাজন চিনা `গুপ্তচর’ জাহাজের আনাগোনা সন্দেহ বাড়াচ্ছে ভারত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। এই আবহে অগ্নি-৫ এর পরীক্ষার সময় পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে।
আন্দামান ও নিকোবর অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে ভারত সরকার একটি `নোটাম’ জারি করার ঠিক এক সপ্তাহ পরেই চিনা জাহাজটির গতিবিধি সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নরওয়ের সংস্থা মেরিটাইম অপটিমা থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, সোমবার ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করলেও বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের উপকূলে মহাসাগরের দক্ষিণ দিকে অবস্থান করছে `ইউয়ান ওয়াং-৫’ নামক চিনা জাহাজটি। যদিও চিন বারবার গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ খারিজ করেছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। অর্থাৎ, ভারত থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র টি চিনের উপর আঘাত হানতে পারে বলে চিনা অন্দরমহল এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। ফলে অগ্নি-৫ এর ক্ষমতা পরখ করতেই চিনা জাহাজ ইউয়ান ওয়াং-৫ ভাসানো হয়েছে ভারত মহাসাগরে। জানা গেছে, এই চিনা জাহাজটি মূলত গবেষণা মূলক কাজের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। এই জাহাজ উপগ্ৰহ এবং বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারদর্শী।