কোয়াড সামিটে যোগ দিতে সোমবার জাপানে পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 40 ঘন্টার সফরে পূরণ করলেন একাধিক বৈঠক কর্মসূচী।
কোভিড অতিমারি কাটিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য সশরীরে মুখোমুখি হয় ভারত, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া অর্থাৎ কোয়াড অর্ন্তভূক্ত চার রাষ্ট্রনেতা। চীনকে নজরে রেখে তৈরি হওয়া এই কোয়াড জোটের এবারের বৈঠকে চীনকে কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এলো ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও সুরক্ষা ব্যবস্থা সহ করোনা পরবর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কীত একাধিক বিষয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদী, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অস্ট্রেলিয়ার নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজও।
সোমবার জাপানের টোকীও-য় উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণ করার পর মঙ্গলবার সকালে বৈঠকে বসেন চার রাষ্ট্রনেতা। বৈঠকের প্রথমেই উঠে আসে কোভিডকালে সকল দেশের একে-অপরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রসঙ্গ।যেখানে করোনাকালে ভারতের সহযোগিতার ভূয়ষী প্রসংশা করেন জো বাইডেন। এছাড়াও করোনায় প্রাণ গিয়েছে প্রায় 60 লক্ষ্য মানুষের, সেকথা মাথায় রেখে পরবর্তীকালে বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করার প্রতিও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিনের বৈঠক থেকে আরও একবার কড়া বার্তা দেওয়া হয় প্রতিবেশী দেশ চীনকে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের অধিপত্য বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টার চাওয়ার দরুণ যদি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত হয় তবে চীনকে বেজায় মূল্য চোকাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় কোয়াড অর্ন্তভুক্ত দেশগুলি। সেইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বারবার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষারও কড়া নিন্দা করেছে চার দেশের জোট। এর পাশাপাশি ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গে, সকল দেশকে আর্ন্তজাতিক আইন মেনে চলা এবং বিভেদ মেটাতে আলোচনার পথ বেছে নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।
কোয়াড বৈঠকের মাঝেই রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন নমো। যেখানে ভারতের সঙ্গে একাধিক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কুটনৈতিক অবস্থান মজবুত করেছে বলে মনে করছে বিষেশজ্ঞ মহল.