সামনেই আসছে বসন্ত উৎসব মানে রঙের উৎসব প্রায় সব বয়সের মানুষই বসন্ত উৎসব এ রং খেলা তে মেতে ওঠেন। আর সেই রং এর উৎসব এর আগে বাজারে নানারকম রং এর সম্ভার দেখা যায় এবং রং এর চাহিদা ও থাকে অনেক এই সুযোগ এই বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে ভেষজ আবির। বড়বাজার চত্বর এ ভেজাল আবির এর নামে বিক্রি হচ্ছে একপ্রকার চকচকে জিনিস যা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে
বড়বাজার চত্বরে যে আবির বিক্রি হচ্ছে তা নামেই ভেষজ কিন্তু রঙের জেল্লার দাপট এ হার মানবে রাসায়নিক আবির পর্যন্ত। দোল উৎসব এর আগে বাজার এ এরম আবিরের ই রমরমা। এই আবির গুলি কী আদেও ভেষজ কিনা তা নিয়ে শংসাপত্র দেওয়ার কেউ নেই। এক একটি আবির এর প্যাকেট এ আবার ভেষজ লেখা স্টিকার ও লাগানো আছে। এই ধরণের আবির কোথায় তৈরী হচ্ছে এমন কী প্রস্তুতকারক সংস্থার ও কোনো তথ্য নেই। এদিকে যারা আবির গুলি কিনছেন তাঁদের মধ্যেও রয়েছে সচেতনতার অভাব।
২০০৫ সালেই অবশ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভেষজ আবির তৈরির পদ্ধতি দেখিয়েছিল। দোল এর আগে আগে এই ধরণের আবির বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট এর বাইরেও বিক্রি হয়ে থাকে। রাজ্যের বহু জেলায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখানো পদ্ধতি তেই আবির তৈরী হয়ে থাকে। যাদবপুরের প্রাক্তন সহ উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন হাওড়ার মল্লিকঘাটে যত ফুল আসে তার ৪০ শতাংশ বিক্রি হয়ে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ওই ফুল দিয়ে ভেষজ আবির তৈরী করেছি। কিন্তু এখন ভেষজ আবির এর নামে বিষাক্ত ও ক্ষতিকর জিনিস বিক্রি হচ্ছে আর সবচেয়ে বড়ো অসুবিধা হচ্ছে ভেজাল আবির চেনার ও কোনো উপায় নেই।