বিদেশ সফর থেকে ফিরে সোজা মধ্য প্রদেশে পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী । কর্ণাটকে সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের পর, এবার ভোটমুখী মধ্য প্রদেশে দলের হয়ে প্রচারে নামলেন তিনি। জনসাধারণের মাঝে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে গেলেন অভিন্ন দেওয়ান বিধি ও সামাজিক তথা মানবিক দায়বদ্ধতার কথা।
গত ৩রা মে থেকে দেশের উত্তর – পুর্ব অঞ্চল, মণিপুরে বেহাল অবস্থা। চুরি – ছিন্তাই, বোমাবারুদের মাঝে দিনদিন বেড়েই চলেছে কোলাহল। এ সবের মাঝে, দেশের হাল না ধরে দলের হয়ে সুর চড়ানো কতোটা নৈতক, এ নিয়েই এখন সোচ্চার বিরোধীপক্ষ। গতকাল মধ্য প্রদেশে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন,’দেশ এক, আইন এক হবে না কেন? যে দেশে সকল মানুষকে সমান অধিকার দেওয়ার বিধান রয়েছে, সেই পুণ্যভূমির বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম থাকে কি করে?’
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের দাবি, মণিপুরের বেড়ে চলা হিংসা, বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধির মতো দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলোয় আলোকপাত না করে ২০২৪ সালকেই এখন পাখির চোখ করতে চাইছেন তিনি। মোদী বলেন, যদি “তিন তালাক”-এর মতো আইন অতোটাই ন্যায্য হয়, তাহলে নামী ইসলামীয় দেশগুলির একাংশ কেন এটাকে রোধ করে দিয়েছে? তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পাকিস্তান, মিশরের মতো দেশগুলোর আইনি ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে, “পসমন্দা” তথা অনগ্রসর মুসলিমদের বঞ্চনার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন তিনি।
যদিও শুধুমাত্র ভোটমুখী প্রচারেই মধ্যেপ্রদেশে পাড়ি দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোপালে তিনটি বন্দে ভারত উদ্বোধন করলেন তিনি। রানি কমলাপতি স্টেশন থেকে ভোপাল – ইন্দোর, ভোপাল – জব্বলপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনাও করেন তিনি। এছাড়াও মাদগাঁও – মুম্বাই, ধারওয়াড় – বেঙ্গালুরু ও হাতিয়া – পাটনা বন্দে ভারতেরও ভার্চুয়াল উদ্বোধন করা হয়।