সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া সিংহাসনে বসতে চলেছেন রজার বিনি। আগামী ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বৈঠকের পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন । বোর্ড কর্তারা নিজেদের মধ্যে ও বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। রজার বিনিকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বর্তমান-এ আমরা নামটির সাথে পরিচিত থাকলেও নতুন প্রজন্মের কাছেই প্রশ্নটি রয়েই যায় যে, কে এই রজার বিনি? তাঁর পুরো নাম রজার মাইকেল হামফ্রে বিনি, অ্যাংলো–ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ভূক্ত প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। এই সম্প্রদায় থেকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। ভারতকে ১৯৮৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রজার বিনি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের মাঝেই বিনির মনোনয়ন নিয়ে তৈরি হল নতুন জল্পনার। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তাঁরই কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন -এর দুই সদস্য এএম.রামমূর্তি এবং এন. শ্রীপতি। তাঁদের অভিযোগ, ৩ অক্টোবর কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন -র ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। আর তারপর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন রজার বিনি। তিনি কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে কীভাবে তিনি মনোনয়ন জমা করতে পারেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।একই আবেদন করেছ, হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা এবং উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাও।
যদিও তাঁদের এই অভিযোগ খারিজ হয়ে গেছে। কারণ নির্বাচনী অফিসার অচল কুমার জ্যোতি বলেন, ‘কেএসসিএ-র তরফে ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার অফ সোসাইটিজ়ের কাছে ১২ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর পরপর দু’টি চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন করা হবে। সেই অনুমতিও পেয়েছে তারা। সেই অনুরোধ মেনে নিয়ে তাদের অনুমতি দেওয়া হয় ডিস্ট্রিক রেজিস্ট্রার অফিস থেকে। এই হিসেবে বোর্ডের নির্বাচনী আধিকারিক আবার সব তথ্য খতিয়ে দেখে জানিয়েছেন, রজার বিনির মনোনয়ন বা সভাপতি নির্বাচিত হওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।রজার বিনির মনোনয়ন পত্র অবৈধ নয়। তাই এই অভিযোগটিকে খারিজ করা হল।‘ অর্থাৎ, সর্বসম্মতিক্রমে বিন্নীকে সভাপতি হিসাবে বোর্ডে নির্বাচিত করতে কোনও সমস্যা নেই শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।