সাইন্স ফিকশন পড়তে পড়তে যারা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন, শুধু তারাই কেন, প্রত্যেক ভারতীয় শিশুর মনেই তারায় ভরা বিশাল গহ্বরটা নিয়ে নানান কৌতুহল থেকে গেছে। রূপকথার গল্প শুনতে গিয়ে কখনও তার মনে হয়েছে এই সুবিশাল আকাশটা হয়তো ঠিক অন্য কোন জগৎ, আবার রাতের অন্ধকারে এটাই পাল্টে গিয়েছে দৈত্য দানোর অদৃশ্য পাকস্থলীতে।
মহাবিশ্বের এমনি নানান “কৌতুহল” নিয়ে গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রেসিডেন্সির ডিরোজিও হলে আয়োজিত হয়েছিল ‘মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ’ নামক এক একক সভার। সাড়ে সাতশোর বেশি দর্শকাবেষ্টিত হলে উপস্থিত ছিলেন পুনের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর এস্ট্রোনমি এন্ড এস্ট্রোফিজিক্সের অধিকর্তা আচার্য সোমক রায়চৌধুরী।
দু’ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই সভায় বেশ কিছু অদ্ভুত গবেষণা পত্র দেখানোর পাশাপাশি তিনি বলেন,’ আমাদের মহাবিশ্ব যে পুণরায় চুপশে যাবে, এ সম্ভাবনা একেবারেই নিরর্থক। তাছাড়া, আকাশগঙ্গা ছাড়াও মহাবিশ্বে কয়েকশো ছায়াপথ রয়েছে যারা ক্রমাগত নিজেদের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার এই, এরা কাছাকাছি চলে এলেও ধাক্কাধাক্কি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।’
এখানেই শেষ নয়। স্টিফেন হকিংয়ের অন্যতম বেস্ট সেলার “দি হিস্ট্রি অফ টাইম”-এর তিনটি যুক্তির প্রথম দু’টিকেই বর্তমান আধুনিক গবেষণায় ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন আচার্য্য রায়চৌধুরী। তিনি বলেন,’আমাদের এই মহাবিশ্বে আকর্ষণের থেকেও বিকর্ষণ বেশি হচ্ছে। তবে, মজার ব্যাপার এই যে বিকর্ষণের উৎস বা কারণ, কোনটাই এখনও পর্যন্ত সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আর তাই আমাদের এই মহাবিশ্বের শেষ যে কোথায়, সেটা এখনও কৌতুহলই মাত্র!’