হাওড়ার বাগনান থানার খাদিনান খাঁ পাড়া এলাকায় সম্পত্তির কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইকে খুন করে দাদা ও তার আরেক ভাই।প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে গলায় ইটের বস্তা ঝুলিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে ঢালাইয়ের ঢাকনা তৈরি করে দেয় তারা।
বুধবার সকালে মৃত ব্যক্তিটির বা কুতুবউদ্দিনের দাদারা পাড়ায় রটিয়ে দেয় তাদের ভাই ট্রেনে কাটা পড়েছে।প্রতিবেশীরা তাদের কথা বিশ্বাস করেননি এবং জোকা নিমতলার কাছে দুই ভাইয়ের যে কাঠের দোকান আছে সেখানেও তারা কুতুবউদ্দিনের খোঁজে যায়।সেখানেও পাওয়া যায়নি কুতুবউদ্দিনকে। এরপর বাসিন্দারা দোকানের পিছনে থাকা সেপটিক ট্যাঙ্ক দেখতে পান কিন্তু সেটি খোলাই থাকতো হঠাৎ সেটির উপর ঢাকনা দেখে সন্দেহ হয় তাদের,এরপর তারা সেই ট্যাংকের ঢাকনা খুলতেই কালোমত কিছু দেখতে পান, সেটি নাড়াচাড়া করতেই উদ্ধার হয় কুতুবেউদ্দিনের মৃতদেহ ও তার গলায় বাঁধা রয়েছে ইটের বস্তা।এই ঘটনা দেখে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা অভিযুক্তদের দোকান ও বাইক ভাঙচুর করেন, রণক্ষেত্রে রূপ ধারণ করে গোটা এলাকা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আসে বাগনান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীবাহিনী।
মৃত কুতুবউদ্দিনের স্ত্রী সাবানা বেগম বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন,“স্বামীর অন্য ভাইয়েরা সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। স্বামী তাতে রাজি হচ্ছিল না। তাই ওকে বিভিন্ন সময় মারধর করত। সম্পত্তি হাতাতে ওকে মেরে ফেলেছে।”পুলিশ জানায়,মৃত কুতুবউদ্দিন খাঁ ওরফে লালু (৩২) তাঁরা পাঁচ ভাই।তার এক দাদা আল্লারাখা খান ও ভাই আজিজুল রহমান খান।কুতুবউদ্দিন তৃতীয় তার বড় দাদা মারা গিয়েছেন। সম্পত্তি নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিবাদ চলছিল। কিছুদিন আগে কুতুবউদ্দিনের স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন, ঘরে একাই ছিলেন কুতুবউদ্দিন।এরপর থেকেই দিনতিনেক ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কুতুবউদ্দিনকে।