পূজোর যখন আর মাত্র আট দিন বাকি, তখনই রাতের অন্ধকারে, কার্যত চিতা বাঘের ন্যায়, অলিগলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী অথবা এনআইএ। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) ইতিমধ্যেই খবরের শিরোনামে চলে এসেছে। সন্ত্রাসে মদত, অর্থ সাহায্যের অভিযোগ এবং আরও একাধিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়ে দেশের প্রায় ১০ রাজ্যে তড়িঘড়ি অভিযান শুরু করেছে NIA এবং ED। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক, কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনীর এক কর্মরত অফিসারের দাবি,’দুর্গা পূজাকেই টার্গেট করা হচ্ছে বলে খবর। এ দেশে বাঙালিদের যেটা দুর্গা পুজো, অবাঙালিদের কাছে সেটাই নবরাত্রি। আমাদের সূত্র বলছে, হঠাৎ করেই বেশ কিছু “অনিচ্ছুক চলাফেরা” রাতের অন্ধকারে দেখা গিয়েছে, যা ছাব্বিশ এগারোর পর সেই অর্থে “নিষ্ক্রিয়”।’দেশের সর্ববৃহৎ খানাতল্লাশি হলো বৃহস্পতিবার! প্রকাশ্যে না আনলেও, একসাথে একশো জায়গায় তদন্ত চালিয়ে ইডির দাবি,’আমরা হাতে নাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর প্রমাণ পেয়ে গিয়েছি। কেরালার মঞ্জেরিতে PFI চেয়ারম্যান ও এম এ সালেমের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, বাইরের বেশ কিছু ‘তৈলাক্ত’ দেশ থেকে জলপথে মদত মিলেছে। আমরা সে টাকা উদ্ধার করেছি। আশঙ্কা রয়েছে, আরও মিলবে।’
মূলত তদন্ত চলছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। কেরালার পঞ্চাশটি জায়গা ছাড়া এই তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলাড়ু, কর্নাটকের নাম। তবে এই তথ্য আচমকা প্রকাশ্যে আসতেই একাধিক কূটনীতিবিদদের ভুরু কপাল ছুঁয়েছে। তাঁদের সন্দেহ,’মুম্বাই তাজের পর এবার হয়তো কোলকাতা তাজ! দূর্গা পুজো, কাতারে কাতারে লোকের সমারোহ। দেশী বিদেশী – কোন বালাই নেই।’
এনআইএ অথবা ইডি – “তদন্ত-তল্লাশির” এই মহাযোগ্যে এরা কতোটা সফল, সেটা তো সময়ই বলবে।