ভারত-বাংলাদেশের আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে মজবুত করতে নয়া উদ্যোগ বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের। বাংলাদেশের মুজিবনগর ও ভারতের চাপড়া হৃদয়পুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত বাংলাদেশ যাতায়াতের নতুন প্রবেশ পথ (এন্ট্রি ও এক্সযিট পয়েন্ট) তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশের সরকার।
গত বছর ২০২১ সালের ২৬ এবং ২৭শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও ভারত এবং বাংলাদেশের আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের জন্য এবং ভারত বাংলাদেশের মধ্যে আন্তসম্পর্ক বাড়িয়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে প্রস্তাব দেয়। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে স্থির করা হয় মুজিবনগর থেকে চাপড়া হৃদয়পুরের সীমান্তবর্তী এলাকা পর্যন্ত রাস্তাটির নামকরন করা হবে “স্বাধীনতা সড়ক”।
নামকরন করা হলেও সেখানে ভিসা ইমিগ্রেশনের বন্দোবস্ত না থাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা চালু ছিল না। কিন্তু চলতি বছরের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরের সময় যাতে স্বাধীনতা সড়ক বরাবর নতুন ইমিগ্রেশন পয়েন্ট ঘোষণা করা যায় তার জন্য উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে। এবং এই নতুন এন্ট্রি ও এক্সযিট পয়েন্টের একঅংশ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত। এই বিষয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছেন ভারত সরকার। এবং এন্ট্রি ও এক্সযিট পয়েন্টের জন্য ৬০০ মিটার রাস্তা পাকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এবং এ বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হওয়ার কথা জানিয়েছে। ধারনা করা হয়েছে ভিসা ইমিগ্রেশন পয়েন্ট খোলা হলে দুই দেশেরই অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে এবং দুই দেশেরই অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নতি ঘটবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাংলাদেশের দিক থেকে কাস্টমস আর ভিসা ইমিগ্রশন পয়েন্ট তৈরির জন্য যে পরিকাঠামো তৈরির কাজ ছিল তা প্রায় শেষ পর্যায়। ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার।