” মে জব ভিলেন বানতা হু না তো কোই ভি হিরো মেরে সামনে টিক নেহি পাতা… ট্রেলারে প্রথমবার কিং খানের মুখ থেকে এই সংলাপ সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে প্রথম থেকেই প্রাণোচ্ছল উন্মাদনা ছড়িয়ে দেয়। তারপর থেকেই দর্শক অপেক্ষা করে থাকে ৭ই সেপ্টেম্বরের জন্য কারণ ওই দিনই ছিল জাওয়ানের মুক্তির তারিখ। পাঠানের অগ্রিম টিকিট বুকিং শুরু হয় প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৫০০ কিন্তু এক্ষেত্রে জাওয়ান পাঠান কে এক লক্ষ টিকিটের সাহায্যে পিছনে ফেলে দেয়। ট্রেলার দেখেই আশা করা যাচ্ছিল শাহরুখের এই কামব্যাক পাঠানের থেকেও বেশি প্রভাব ফেলবে এবং যেমন বলা তেমন কাজ, জাওয়ান এর ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো য়ের কামাই হয় ৭৫ কোটি টাকা।
দু’ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের এই সিনেমা কিছুতেই আপনাকে চোখ সরাতে দেবে না বলেই দর্শকদের অভিমত। যদি সিনেমা তিন ঘন্টার হয়ে থাকে তো আধঘন্টা কেবল ছিল দর্শকদের হাততালি এবং শোরগোল। কিং খানের এই কাম ব্যাক যেন ছিল দর্শকদের নিজেদের জয়। গল্পটি ছোট্ট করে বললে বলা যায় দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি হয়ে যাওয়া অন্যায় এর বদলা। সিনেমার শুরুতেই দেখা যায় একটা রোড এক্সিডেন্ট যেটা কিং খান (আজাদ) এর টিম মেম্বারদের করা ইচ্ছাকৃত ঘটনা। এই সবকিছুর জন্য দায়ী যে ব্যাক্তি অর্থাৎ মেন ভিলেন এর মেয়েকে ইচ্ছাকৃতভাবে মেট্রোতে ডেকে আনা ছিল এই সদস্যদের উদ্দেশ্য । এরপর সিনেমার প্রত্যেকটা মুহূর্তে দেখা যায় টানটান উত্তেজনা ভরা প্রতিশোধের আগুন একেবারে অন্তিম পর্বে গেলে দেখা যাবে বাবা ছেলের একত্রে প্রতিশোধের লড়াই।
এক কথায় বলতে গেলে কিং খানের এই ম্যাজিক করা ছবি দর্শকদের মনে জাগিয়ে তুলেছে বিনোদনের আগুন। সবথেকে বড় কথা মাথায় পাকা চুল এবং দাড়ি নিয়ে এক বৃদ্ধের লুক যে সবার কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে তা হয়তো কেউ চিন্তা করতে পারেনি। অভিনয়ের দিক থেকে দেখতে গেলে বলা যাবে সবার অভিনয় ছিল দুর্ধর্ষ নিজের একশ শতাংশ দিয়ে অভিনয় করেছিল প্রত্যেকেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মুভির প্রধান নায়িকা নয়ন তারা র অ্যাকশনের থেকেও বেশি হাততালি এবং চিৎকার কামিয়েছে শাহরুখের মা অর্থাৎ দীপিকা পাড়ুকোন। আজ ১৩ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সাত দিনের মাথায় এই ছবি কামিয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে ৫৭৪. ৮৯ কোটি টাকা।এখনো পর্যন্ত নান্ ২ কে যেমন নিজের দক্ষতার সাথে সিনেমা হল থেকে ছিটকে বার করে দিয়েছে তেমনি মাসখানেকের জন্য সিনেমা হল গুলিতে আর কোন অন্য সিনেমা ধোপে টিকতে পারবে না বলে, আশা করা যাচ্ছে।