যত দিন এগোচ্ছে, ততই পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে পাকিস্তানের। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্কটজনক যে, নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়েই হিমসিম পরিস্থিতি পরেছে।
পাকিস্তানের বার্ষিক মূল্য সূচক ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। দেশটির মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ছে ৩৫.৩৭ শতাংশে। মাসে মূল্য বৃদ্ধির হার৩.৭২ শতাংশ আর্থিক পরিস্থিতি পাকিস্তানের এতটাই খারাপ যে ২০ হাজার নগরিকের কাজ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে যন্ত্রাংশ হিসেবে মোবাইলের ৩০ টি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি নিষেধাজ্ঞার জন্য যন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কারখানা বন্ধের জন্য এপ্রিল মাস থেকে কর্মীদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। কারখানা খোলা হলে তবেই কর্মীরা আবার যোগদান দিতে পারবেন।
খাদ্যের অভাব এতটাই হয়েছে যে, সরকার থেকে খাবার বিতরণের সময় খাবার নেওয়ার জন্য পদপিষ্ট হয়ে মারা যায় ৫ জন। আর্থিক পরিস্থিতির জন্য খাদ্য মূল্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে (আটা,চিনি ভোজ্য মূল্যের দাম ক্রমশ বুদ্ধি পায়েছে)। খাদ্যের অভাবের কারণে রমজান মাসের ওপর প্রভাব পড়েছে। সব জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সুদের হার ও বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু তা খুব সামান্য পরিমাণে। বিদেশি মুদ্রার আমদানি থাকায় ডলারের উপর চাপ চাপিয়েছে সরকার। সেই কারণেই বন্ধ রয়েছে কারখানাগুলি।