মেটাভার্স হয়ে ওঠার গল্প স্পাইডার ভার্সের
গত শতকের ছয়ের দশকে মার্কিন ম্যান রূপে এক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটেছিল এক চলচ্চিত্র গোষ্ঠীতে। যা মাকড়সা মানব বা স্পাইডার ম্যান নামে পরিচিত আমাদের সবার কাছে।এই স্পাইডার ম্যান অনেকটাই পরিচিত সারা বিশ্বের কাছে।কমিক্স থেকে অ্যানিমেশন হয়ে চলচ্চিত্র ইত্যাদির মাধ্যমে পরবর্তী কয়েক দশকে তারা বারবার বক্স অফিসে খুবই নাম কামিয়েছেন, এই অনবদ্য অভিনয় বা গল্প প্রতিবার মানুষের মনে বাড়িয়ে দেয় স্পাইডার ম্যানের প্রতি ভালবাসা।
হ্যাঁ কেউ কেউ হয়তো ভয় পায় মাকড়সাকে তবে এই স্পাইডারকে ভালবাসেন খুবই।এখানে গল্প নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় জন্ম জন্মান্তর থেকে এই সিনেমা চলে আসছে মানুষের কাছে।এই সিনেমার প্রতি সিরিজ এতটাই জনপ্রিয় যে এটি বক্সঅফিসেও ভালো রান করছে।কিন্তু এই সিনেমায় শুধুই যে গল্প আছে বা উড়ে যাচ্ছে মাকড়সা তার জন্য এতটা ফেমাস (famous) নন। আকাশে উড়ে মানুষকে বাঁচানো ,জাল বোনা এসব তো রয়েছেই।কিন্তু এর থেকে বেশি বড় কথা হলো মানুষকে বাঁচানো তার থেকেও বড় দায়িত্ব হল বিশ্বকে রক্ষা করা। সেটাই তার মূল ফোকাস। আর তা করতে গিয়ে আপনজনের মৃত্যু হলেও থমকে গেলে চলবে না। ‘স্পাইডার-ম্যান: অ্যাক্রস দ্য স্পাইডার-ভার্স’ ছবিতে সংলাপটা নেই। কিন্তু এই সংকটটা আছে।এবার স্পাইডার ম্যানের পান্ডা মিগুয়েল ও’হারার (স্পাইডারম্যান ২০৯৯) তৈরী হবে।এটা একটু ভিন্ন কারণ সে স্পাইডারম্যানদের ‘প্যাটার্ন’ টাই ভেঙে অন্য ধাঁচের করতে চায়। কেমন প্যাটার্ন, কী চায় সেটা জানানো উচিত না তাহলে সিনেমা দেখার মজাটাই শেষ হয়ে যায়। সত্যি বলতে স্পয়লার হয়ে যাবে। তাই সেটা না বলাই থাক। এটুকু বলা যায়, ছবির প্রধান ভিলেন স্পট নয়, এখানে স্পাইডারম্যানের আসল লড়াই স্পাইডারম্যানের বিরুদ্ধেই।
জানা গেছে , স্পাইডার-ম্যান: ইনটু দ্য স্পাইডার-ভার্স’ ছবিটিতে দর্শকের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হবে মাইলসের। দুর্ধর্ষ আবহসংগীত, চোখধাঁধানো দৃশ্যাবলি নিঃসন্দেহে এই ছবির অন্যতম আকর্ষণ।তাই হয়তো কোনদিনই স্পাইডার ম্যানের জাল কেটে যায় না।কিন্তু আসল নায়ক শেষ পর্যন্ত গল্প।ছবির একেবারে শেষের চমকও সেখান থেকেই উঠে আসে। এই ছবি সকলকেই ভাবনার রশদ জোগায়। জানা যাচ্ছে বাড়বে আকর্ষণ আর ও।এবার হিন্দিতে ডাব হবে স্পাইডার ম্যান, অর্থাৎ ভারতীয় স্পাইডারম্যান! সে থাকে মুম্বাটন নামের এক শহরে যা মুম্বাইয়ে অবস্থিত। প্রভাকর পর্দায় যতক্ষণ থাকে, মাতিয়ে রাখে। ২০০৪ সালে বইয়ের পাতায় তার দেখা মিললেও এবার আবির্ভাব পর্দায়। ছবির হিন্দি সংস্করণে কণ্ঠস্বর আসবে ভারতীয় ক্রিকেটর শুভমান গিলের। যা বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। প্রভাকরকে নিয়ে একটা ‘স্পিন অফ’ ভবিষ্যতে হতেই পারে। মার্ভেল কি ভারতে তাদের বিপুল ফ্যানবেসের কথা ভাববে না! সেই নিয়ে ভাবছেন কমিউনিটি।
এখানে মূলত দেখা উচিত ক্লাইম্যাক্স, হ্যাঁ সত্যি বলতে প্রথম দিকটা একটু বোরিং ধরনের তবে ক্লাইম্যাক্স দেখার মতন।সব শেষে এই সিনেমা আবারও করবে সারা বিশ্বের মন এই নিয়ে সন্দেহ নেই কারুর,মন খারাপ হাসি আবহসঙ্গীত সব মিলিয়ে এক অনবদ্য সিনেমা এটি। হ্যাঁ হটাৎ করে সিনেমাটি শেষ করে দেওয়ায় অনেকটাই ভাববার বিষয় হয়ে উঠেছিলো।কিন্তু এখন তা নিয়ে ভাবতে থাকুক অডিয়েন্স।তবেই তো মাল্টিভার্স এর মজা।