বিদেশ সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর সফরের রেশ কাটেনি আমেরিকায় ,বলা ভালো সে দেশের রাষ্ট্র প্রধানের মন থেকে।সোমবার সাত সকালেই প্রকাশ পেল তা। টুইট করে ফের একবার ভারত আমেরিকার বন্ধুত্বের দৃঢ়তার কথা তুলে ধরলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা সফরের মোদীর সঙ্গে হাত মেলানোর ছবি দিয়ে টুইট করে বাইডেন লেখেন,বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক বেশি সম্ভাবনাময়। এবং এখন সেটি আরও শক্তিশালী ও আরও গতিশীল। জবাবে তার বক্তব্যকে সম্মতিও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চলতি মাসের একরাশ কর্মসূচি নিয়ে আমেরিকা সফরে পাড়ি দেন নমো। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অংশ নেন নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকা থেকেই দেশবাসীর উদ্দেশ্য বার্তা দেন তিনি। এরপর আমেরিকার একাধিক শিল্পপতিদের পাশাপাশি মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্কের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন মোদী। কর্মসূচি অনুযায়ী ২২শে জুন বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী। প্রায় দু ঘন্টার বৈঠকের পর, ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টর এবং খনিজ সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর করা হয় বলে সূত্রের খবর। সেইদিন সন্ধ্যায়ই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তার ভাষণে উঠে আসে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে শুরু করে গণতন্ত্র, অর্থনীতি, পরিবেশ, সন্ত্রাসবাদ-সহ বিভিন্ন বিষয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদীকে এই ভাবে স্বাগত জানানোর নেপথ্যে অনেকগুলি কারণ রয়েছে। বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার মধ্যে লাভ দেখছে ওয়াশিংটন। ভারতের সঙ্গে জোট বিশ্ব রাজনীতির আঙিনায় আমেরিকাকে খানিক সুবিধাজনক স্থানে রাখতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি, বর্তমানে ভারতের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে মোদী সরকার। সামনের বছর লোকসভা ভোটের আগে যা বিজ্ঞাপিত করতে চায় মোদী সরকার। ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার প্রতিবেশী চিনের থেকে কম। তাই সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আমেরিকা সহায় হতে পারে বলে মনে করছে মোদী সরকার। এছাড়াও এই অঞ্চলে কৌশলগত ক্ষমতা দখলে রাখার প্রধান কারণ— বিশ্বের আটটি প্রধান তেল এবং গ্যাসের ভান্ডারের মধ্যে তিনটি এই অঞ্চলে রয়েছে। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার এই অঞ্চলের কথাও উঠে আসে মোদীর বক্তৃতায়।