সময় যত এগোচ্ছে মানুষ ততই যন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়ছে এবং অচেতন মনেই মানুষ নিরাপত্তা হননের স্বীকার হয়ে পড়ছে। বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জ্ঞাপন প্রযুক্তির পথ প্রশস্ত হওয়ায় জানা অজানায় দেশও ঝুঁকিপূর্ণ নিরাপত্তার কবলে পড়ছে। যোগাযোগ ও জ্ঞাপনের দ্বার উন্মুক্ত হওয়ায় এবং তা মানুষের জীবনের সাথে একীভূত হয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের নির্ভরতা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে যন্ত্রের উপর।
এই যান্ত্রিক উৎপাদনের দৌড়ে চীন-এর সমতুল্য প্রতিযোগী খুব কমই আছে বলা চলে। প্রতিযোগী কম থাকায় কোনও কিছুর অপব্যাবহারও প্রত্যাশিত তা বলা চলে। কিন্তু এই নির্ভরশীলতা কি আদেও প্রয়োজনীয় ? কারণ এর অপব্যাবহার যে কোনও কিছুকেই ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে এক নিমিষেই। এবং চীন এর ব্যাতিক্রম কিছু করে না। সারা বিশ্বের কাছেই চীন হুমকি স্বরূপ। এবং নিরাপত্তার মামলায় চীন অনেক আগে থেকেই অবিশ্বাসযোগ্য। অতীতে অনেক কর্মকাণ্ডই দেখা গেছে।
প্রযুক্তি নির্ভরতায় এবং যান্ত্রিক উৎপাদনে অনেক দেশই উৎপাদনশীল দেশ হয়ে উঠেছে। এর প্রেক্ষিতেই এবার সরব হয়েছে অনেক দেশ। চীনা প্রযুক্তি কিংবা চীন উৎপাদিত যন্ত্র থেকে উন্মুক্ত হতে চাইছে বিভিন্ন দেশ। এই ঝুঁকিপূর্ণ নিরাপত্তাকে লক্ষ্য রেখেই ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) কিছু চীনা প্রযুক্তি সরঞ্জাম আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে। এবং এটি নির্ধারণ করে বিবৃতি দিয়েছে যে এটি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি। এবং এই বিষয়টি করা হয়েছে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে এবং জেডটিই-এর সাথে।
হুয়াওয়ে এবং জেডটিই হল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম টেলি কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতির উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। এবং এর ফলে চীন-এর মতো একটি দেশের কাছে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জ্ঞাপনের সমস্ত তথ্য হস্তগত হয়ে পড়ছে। সেই সাথে চীনা নজরদারি সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ডাহুয়া টেকনোলজি, ভিডিও নজরদারি সংস্থা হ্যাংঝো হিকভিশন ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং টেলিকম সংস্থা হাইটেরা কমিউনিকেশনস কর্পোরেশনকেও নিষিদ্ধ করেছে। এই সমস্ত কিছুই করার পিছনে আসল লক্ষ হলো তথ্যকে মুষ্টিগত না করতে দাওয়া। তথ্য বর্তমানে যেকোনো দেশের কাছেই শক্তিশালী অস্ত্র হয়ে উঠেছে। এবং এই তথ্য অবৈধ ভাবে ব্যাবহারের মাধ্যমেই হতে পারে অগ্রহনযোগ্য ঝুঁকি এবং হুমকির মুখে পড়তে পারে নিরাপত্তা।