১৬২ তম রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ৬ দিন ৩০ ঘণ্টা ব্যাপী এক রবীন্দ্র অনুশীলন ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছিল বেহালা কলেজ।
রবীন্দ্র অনুশীলন কেন্দ্র ও বেহালা কলেজের যৌথ উদ্যোগে ৬ দিন ৩০ ঘণ্টা ব্যাপী এক বিশাল ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছিল কলেজে। ১০-১৬ মে পর্যন্ত একেকদিনে একেকটি ভিন্ন বিষয় নিয়ে চলেছিল এই কর্মসূচি। অধ্যক্ষ ড. শর্মিলা মিত্র প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও পুষ্প দানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা করেন ও তিনি জানান রবীন্দ্র অনুশীলনটিকে তিনি মোটেও আলাদা ভাবে দেখছেন না এবং সাহিত্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইন এর সেই ঐতিহাসিক কথোপকথন সংক্ষেপে আলোচনা করেন ।
৬ দিনে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি চলতে থাকে ও প্রত্যেক দিন দুটি পর্বে ভাগ করা হয়। প্রথম দিনে প্রথম পর্বে ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দ্বিতীয় পর্বে ” রবীন্দ্র গানের অঙ্গনে আলোচনা ও উপস্থাপনে ” ছিলেন অধ্যাপক নন্দিনী রায় ও অধ্যাপক ইন্দ্রাক্ষী ঘোষ এবং তবলার উপস্থাপনায় ছিলেন ড. মলয়েন্দু মাইতি। দ্বিতীয় দিনে প্রথম পর্বে ” নাটক – রক্তকরবীর আলোচনা,সামাজিক আঙ্গিকে নাটক “- এর উপস্থাপনায় ছিলেন ড. সুভাষ মিস্ত্রি ও বিজয় কুমার মন্ডল এবং দ্বিতীয় পর্বে রক্তকরবী নাটক প্রদর্শন। তৃতীয় দিনে প্রথম পর্বে ” রবীন্দ্র নৃত্যকলা ” বিষয়ে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক দেবারতি ভট্টাচার্য ও দ্বিতীয় পর্বে ” নৃত্যকলা প্রদর্শন রবীন্দ্র নৃত্য ভাবনা “- র উপস্থাপনায় ছিলেন অঞ্জলী কোলে। চতুর্থ দিন প্রথম পর্বে ” রবীন্দ্র আলপনায়” বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক দেবারতি ভট্টাচার্য এবং দ্বিতীয় পর্বে ” রবীন্দ্র কবিতা ও আবৃত্তি” – র উপস্থাপনায় ছিলেন ড. কমলিকা রায় দত্ত। পঞ্চম দিনে প্রথম পর্বে ” চারুলতা ” চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন ও দ্বিতীয় পর্বের চলচ্চিত্রায়নে ছিলেন অধ্যাপক অরিজিৎ মুখার্জী । ষষ্ঠ ও শেষ দিনের প্রথম পর্বে ” রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞান চেতনা ” বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ড. সুব্রত পুরকাইত ও দ্বিতীয় পর্বে ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা নৃত্য প্রদর্শন হয়। সংশাপত্র প্রদান করা হয় প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীদের । সর্বশেষে সমবেত সঙ্গীত ও অধ্যক্ষ ড. শর্মিলা মিত্র শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।