২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। বছরপূর্তির পরেও যুদ্ধ থামেনি, এর শেষ কোথায় তা কেউ জানেনা। রাশিয়া প্রথম থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করতে চেয়ে বারবার হামলা চালায়। কিন্তু, রুশবাহিনী সফল হতে পারেনি। তবে, তারা তাদের লক্ষ থেকেও সরে যায়নি। বুধবার গভীর রাতে বেশ কয়েকটি রুশ ড্রোন প্রায় তিন ঘন্টার মতো হামলা চালায় কিয়েভে,এই মাসে কমপক্ষে বারোটি রাশিয়ান ড্রোন কিয়েভের উপর দিয়ে উড়েছে, দুই রাষ্ট্রকে আলোচনার টেবিলে বসার কথা বললেও কেউ তাদের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও সরে যেতে প্রস্তুত নয়।
এই রকম অবস্হায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও তীব্রতর হচ্ছে। এদিকে, জেলেনস্কি বাহিনী দাবি করেছে যে, তাদের পালটা আক্রমণে রাশিয়ার প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে।হামলাকারী ড্রোনগুলি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের গুলিতে ধ্বংস হয়েছে।টেলিগ্রামে কিয়েভের সামরিক প্রশাসক সের্হেই পোপকো বলেন, “কয়েক দফায় ধেয়ে এসেছিল রাশিয়ার ড্রোনগুলি। তাদের গুলি করে নামানো হয়েছে।”
কয়েকদিন আগেই পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুট দখল করার কথা গোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করেছিল রুশ সেনা। তারপর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নিষ্পত্তি হয়নি যুদ্ধের।রুশ সেনা গত দশ মাস ধরে ৭০ হাজার নাগরিকের এই শহরের দখল নিতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে ।এর মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘ সংঘর্ষের সাক্ষী লবণ-খনির শহর বাখমুট। অবশেষে তা ও দখলের দাবি করেছে রাশিয়া।কিয়েভের জানিয়েছে, লড়াই চলছে তবে পরিস্থিতি খুব ‘কঠিন’।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে ত্রাস সৃষ্টি করছে রাশিয়ার ‘কামিকাজে’ বা আত্মঘাতী ড্রোন।কিয়েভ-সহ একাধিক শহরের বুকে আকাশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নেমে আসে ঠাসা চালকবিহীন উড়ন্ত যানগুলি, প্রাণ হারান অনেকেই।তাই এবার রুশ ফৌজকে পালটা দিতে প্রস্তুত ইউক্রেনীয় সেনা। গোপনে একটি অত্যাধুনিক অস্ত্রও তৈরি করেছে তারা বলে খবর।