শতাব্দী প্রাচীন গ্রন্থাগার এখন পরিণত হয়েছে কারাগারে। বইয়ের হলুদ পাতায় পাতায় ধুলোর পরত আর তাতেই জাল বুনেছে মাকড়সারা। তাই বই বাঁচাতে বইপ্রেমীদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিডন স্ট্রিটের চৈতন্য লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ।
১৩৩ বছরের পুরনো, রবীন্দ্র -স্মৃতিবিজড়িত চৈতন্য লাইব্রেরিতে এখন মাকড়সা আর উইদের বাসভবন, ঝুরঝুর করে খসে পড়ছে ইতিহাসের পাতা। দুষ্প্রাপ্য বই ও পত্রিকার হতশ্রী দূরবস্থা। ধুলো, উই, মাকড়সার উৎপাত ছাড়াও কড়িকাঠ বেয়ে চুঁইয়ে পড়া জলে ক্রমশ নষ্ট হচ্ছে গ্রন্থাগারের লক্ষাধিক বাংলা বই, প্রায় ২০ হাজার ইংরেজি বই, ৩০ হাজার পুরনো পত্রপত্রিকা। অর্থাভাবে দুর্দশায় পাঠাগার অথচ আজও পাঠাগারটির সদস্য হতে খরচ মাত্র পাঁচ টাকা! তাই বিডন স্ট্রিটের চৈতন্য লাইব্রেরি বিপুল সম্ভার বাঁচাতে বইপ্রেমীদের আহ্বান জানিয়েছেন লাইব্রেরি কর্তপক্ষ।
লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে লাইব্রেরীর ডিজিটালাইজেশনের ভাবনা চলছে। প্রবীরবাবু বলেছেন, “দেশি-বিদেশি অনেক প্রাচীন বই এখানে আছে যা আর ছাপা হয় না, অন্য লাইব্রেরিতেও মেলে না। প্রকাশকের কাছেও সেই বই আর নেই। রত্নগর্ভা, অথচ ধুঁকতে থাকা এই গ্রন্থাগারকে বাঁচাতে তাই বইপ্রেমীদের পাশে চাই।’’ তারা আশা রাখছেন বইভবন অর্থাভাবের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে সফল হবে।