শরণার্থী সমস্যা মেটাতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকে নয়া বিল, অর্থাৎ শরণার্থী বিল এর মাধ্যমে সীমান্তের অধিকার ফিরে পাওয়া।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান হাউস অব কমনসে পেশ করেছেন এই শরণার্থী বিল। বিলের বিষয়বস্তু ছিল যে, ইংলিশ চ্যানেল পার করে অবৈধ ভাবে ব্রিটেনে প্রবেশকারীরা যেন কোনও ভাবেই আশ্রয় দাবি করতে না পারেন। মঙ্গলবার, হাউস অব কমনসে বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে ঋষি সুনক জানান যে, নৌকা আটকানো দেশের মানুষেরও অগ্রাধিকার। শরণার্থীদের জানা প্রয়োজন, অবৈধ ভাবে এ দেশে প্রবেশ করলে প্রথমে আটক, তার পরে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে না। তাঁদের দেশ যদি নিরাপদ না হয়, তা হলে কোনও নিরাপদ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের। যেমন রোয়ান্ডা। বিষয়টি চালু হলেই নৌকা আসা বন্ধ হবে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পরেই প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের অন্যতম ও প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল শরণার্থী সমস্যার সমাধান করা। তাঁর পূর্বসূরির বরিস জনসনের পরিকল্পনা ছিল যে, ব্রিটেনের শরণার্থীদের রোয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের নির্দেশে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। এবার কি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সেই পথেই হাঁটতে চাইছে সুনাকের প্রশাসন, তা নিয়ে বেশ প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে একাধিক বিশেষজ্ঞ মহলে।