রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, বেশ সস্তিতে দেখা গেল কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি ডি মুরুগেশন-কে। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,’আসতে চলেছে আমূল পরিবর্তন!……মাত্র দশ বছর। আর তার মধ্যেই সারা বিশ্বের দরবারে রাজ্য পাল্লা দেবে পদার্থ বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, টেকনলজি, ম্যানেজমেন্ট সহ নানান বিষয়ে।’
শিক্ষার গণনায় দেশের দক্ষিণ ভাগ যে আর বাকি দিকগুলোর থেকে ঢের এগিয়ে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এবারে নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে তামিলনাড়ু সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে রয়েছেন নানান বিষয়ের সফলতম ব্যক্তিত্বরা। তাঁদের তত্বাবধানেই নতুন করে সিলেবাস লেখার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই কমিটি মূলত জোর দিচ্ছে টেকনোলজি ভিত্তিক পড়াশোনা, আধুনিক ধরনধারন এবং বর্তমান সময়ে কার্যকরী হবে, এমন সমস্ত বাষয়গুলীতে। বাদ যাবে আদ্দি কালের বস্তা পঁচা মুখস্থ বিদ্যা। সভা শেষে বিচারপতি আরও জানান,’আশা করা হচ্ছে, নতুন বছরের শুরু থেকেই “নতুন করে” আমরা শুরু করতে পারব। বিশ্বের বেশ কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা চালাচ্ছি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পরামর্শদাতা হিসেবে এ বছরের শেষেই কোন আন্তর্জাতিক নাম ঘোষণা করা হবে।’
জানা যায়, একেবারে “গ্রাসরুট লেভেল ” অর্থাৎ কৈশোর থেকেই পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে তামিল নাড়ু সরকার। রাজ্যের উদ্দেশ্য পরিষ্কার, কোন কিছুর পুর্বে মানসিকতায় পরিবর্তন আনা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর সেটা সব থেকে ভালো সম্ভব, যখন শিশুর বয়স বেড়ে পাঁচ।