আগামী সবুজ; A Green Tomorrow
আগামী দশ বছরের মধ্যে আমাদের বিশ্ব তথা দেশ ভারতবর্ষে যেমন টেকনোলজি কিংবা কৃষিকাজের অবনতি হয়েছে তেমনই অনেক রকমের উন্নতি হয়েছে।তৈরি করা হয়েছে নতুন ধরনের প্রযুক্তি মেশিন নতুন সার কীটনাশক। উন্নতি হয়েছে অনেকটাই। আকাশ ছোঁয়া না হলেও চেষ্টার পথে ভারত। কৃষিকাজে (Agriculture) ভারত এগিয়ে অন্য দেশের থেকে।
ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ – আইসিএআর) –এর মহানির্দেশক তথা কৃষি গবেষণা দপ্তরের সচিব ড. ত্রিলোচন মহাপাত্র এক সাক্ষাৎকারে মাধ্যমে এই ব্যপারে বিস্তারিত জানান। ২০১৪ সাল থেকে আইসিএআর-এ বিভিন্ন কেন্দ্রে যে গবেষণাগুলি হয়েছে, তার ফলে ১৪৩৪ রকমের খেতের ফসল, ৪৬২ রকমের বাগানের ফসল এবং ১১২১ রকমের জলবায়ু সম্পর্কিত প্রজাতির উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। বিভিন্ন দূর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য নানা প্রজাতির শস্য উদ্ভাবনের উদ্দেশে আনবিক প্রজনন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় কৃষিকাজ নিয়ে বিশদে ভাবছেন।কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে পোষণথালি এবং পুষ্টিবাগান তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে ৭৬টি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং ৪৫০টি আদর্শ খামারের মাধ্যমে পাইলট প্রোজেক্ট চালানো হয়েছে। পুষ্টিবাগান তৈরিতে গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের কর্মী সহ মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পোষণথালিতে চাল, স্থানীয় স্তরে উৎপাদিত ডাল, মরশুমি ফল, পাতাযুক্ত সবুজ সব্জি, ওল, অন্য নানা ধরণের সব্জি, দুধ ও চিনি, গুড় এবং তেলের মতো সামগ্রী থাকে। ২০২২ সালের মধ্যে ১০০টি নিউট্রিস্মার্ট গ্রাম তৈরি করা হচ্ছে, এর পাশাপাশি
বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে আরও উন্নত থেকে উন্নততর করে হচ্ছে। ফুয়েল (Fuel), পেট্রোল ( Petrolium Gas ) , ডিজেল ( diesel ) ইত্যাদি জাতীয় তেল কিংবা গ্যাসের ব্যবহার কম করা হচ্ছে।তৈরি করা হচ্ছে নতুন বিদ্যুতিক গাড়ি যা ভবিষ্যতে উন্নত করে তুলবে আমাদের দেশকে তথা ভারতবর্ষ কে।
2027 সালের মধ্যে ডিজেল চালিত গাড়ি গুলো বন্ধ করার নির্দেশ জারি করে দিয়েছেন রাজ্য তেল মন্ত্রক, ডিজেল চালিত গাড়ির ব্যবহার একেবারে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এতে বাঁচতে পারে পরিবেশ। পরিবর্তে বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং গ্যাস জ্বালানিযুক্ত গাড়ির ব্যবহার করা উচিত যাতে নির্গমন কমানো যায়। এখন থেকেই চালিত হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিংবা স্কুটি।আগামী ৫ বছরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি।
2070 সালের মধ্যে কার্বন ফি ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি 40 শতাংশ বিদ্যুৎ রিনিউবেল শক্তি থেকে উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। দূষণ কমানোর জন্য সম্প্রতি বিএস6 ফেজ 2 নিয়মবিধি চালু করা হয়েছে।এই নিয়মের উদ্দেশ্য হল গাড়ি সংস্থাগুলি যাতে পুরনো ইঞ্জিন ত্যাগ করে এবং তার বদলে কম দূষণ নির্গত উন্নত ইঞ্জিনের ব্যবহার শুরু করে।এতে উন্নতি হবে দেশের ও দশের।
আমাদের এই উন্নত থেকে উন্নততর দেশ আরও এগিয়ে যাক এই আসা রেখে নতুন প্রজন্মের সৃষ্টি হচ্ছে তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি কিংবা মোটর গাড়ি (Scooty) যা দূষণ যেমন কম করবে তেমনই সংশয় করবে পয়সা। আকাশ ছোয়া পেট্রোল ডিজেল যার ব্যবহার না করে পরিবেশ বাঁচাতে হবে এবং সাথে সাথে কৃষিকাজে উন্নতি ঘটছে, তৈরি হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি।
এসব ছোট ছোট উন্নতির মধ্যে থেকেই ফিরছে ‘আগামীকালের সবুজ পৃথিবী’। (A GREEN TOMORROW).