বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর অবশেষে পৃথিবীর সব সাগর-মহাসাগর রক্ষায় ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে ঐক্যবদ্ধ হল রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলি। গতকাল সমুদ্র-রক্ষার সমাবেশে বসেছিলরাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলিতে। নিউ ইয়র্কে গত কাল রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সমাবেশ বসেছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে সাগর-মহাসাগরের ৩০ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জলবায়ু পরিবর্তন, অত্যধিক মাছ ধরা ও জাহাজ চলাচলের কারণে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে থাকা সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে আছে। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে পরিবেশবাদীরা এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। এই বিশ্বে প্রকৃতি সুরক্ষা ও ভূরাজনীতির ক্ষেত্রে মানুষ যে জয়ী হতে পারে, তার চিহ্ন থাকা জরুরি। এছাড়াও এই নয়া চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সমুদ্রে নতুন সুরক্ষিত অঞ্চল গড়া হলে মাছ ধরা, গভীর সমুদ্রে খননসহ জাহাজ চলাচলের পথ নির্ধারণের বিষয়গুলো সীমিত করা যাবে।
বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের সূত্রে জানা যাচ্ছে , সমুদ্র উপকূল থেকে ৩৭০ কিলোমিটার পেরোলে শুরু হয় ‘হাই সি’ বা গভীর সমুদ্র। এই অংশ কোনও দেশের বিচারবিভাগের মধ্যে পড়ে না। পৃথিবীর সামুদ্র অঞ্চলের ৬০শতাংশই গভীর সমুদ্র। মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অর্ধেকই তৈরি হয় এই সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রে। কারণ বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয় সমুদ্র। বর্তমানে গভীর সমুদ্রের মাত্র ১ শতাংশ সুরক্ষিত রয়েছে। এছাড়াও এই নয়া চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সমুদ্রে নতুন সুরক্ষিত অঞ্চল গড়া হলে মাছ ধরা, গভীর সমুদ্রে খননসহ জাহাজ চলাচলের পথ নির্ধারণের বিষয়গুলো সীমিত করা যাবে। তাই এই চুক্তি হলে সমস্ত জলজ প্রাণীর খুব সহজেই রক্ষা করা যাবে।