একের পর এক অপরাধে অভিযুক্ত হচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প । এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নর্বাচনে হেরে যাওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে বেআইনি ভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নথি সরিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরে ফ্লোরিডায় মারে লাগো রিসোর্ট এ অভিযান চালিয়ে সেগুলো উদ্ধার করেন নিরাপদ বাহিনী।তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১১ হাজার গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়। নথি উদ্ধারের সময় বাধা সম্মুখীন হতে হয়েছিল বলে এফবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মায়ামীর আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানিক ভাবে এই অভিযোগ গঠন করা হয় । অভিযোগ গঠনের বিষয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সাত টি অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে গনমাধ্যম । এর মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়া ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মতো অপরাধ মূলক অভিযোগ রয়েছে ।
এর আগে ট্রাম্পের উপর যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল । এবার তার বিরুদ্ধে সরকারি গোপন নথি চুরির অভিযোগ উঠলো । ইতিমধ্যেই বাইডেন প্রশাসন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত করার চিন্তা ভাবনা করছে । তবে ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ বলে জানিয়েছেন ।
বাইডেন প্রশাসনকে দুর্নীতিগ্রস্থ আখ্যা দিয়ে, গোপন তথ্য চুরি মামলায় আগামী মঙ্গলবার মিয়ামির একটি ফেডারেল আদালতে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প কে নথি চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।এর পূর্বে কখনোই কোনো প্রেসিডেন্ট বা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এর উপর এরম নথি চুরির অভিযোগ ওঠেনি এক্ষেত্রে ট্রাম্পি প্রথম । এ নিয়ে ইতি মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট । আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।তার আগে এই আইনি চাপ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কে খুবই চাপের মুখে ফেলছে ।