হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদের নামের সঙ্গে সংযুক্ত হল এক নতুন পালক। ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মানের নাম দেওয়া হল ধ্যানচাঁদের নামে। ধ্যানচাঁদ ক্রীড়া জগতের এক উল্লেখযোগ্য নাম। তার জন্মদিনটি বিশ্ববাসীর কাছে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে পরিচিত।
করোনা ভাইরাসের আবহে সফলভাবে গত ২৩ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া টোকিও অলিম্পিক শেষ হয়েছে ৮ আগুস্ট। যেখানে দীর্ঘ চার দশক পর অলিম্পিক হকিতে পদক জিতেছে ভারতীয় পুরুষ দল। এই জেতার সন্ধিক্ষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মানের নাম হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদকে উৎসর্গ করে রাখা হবে ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার, যার এতদিন নাম ছিল রাজিব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে চার বছরের বেশি সময় ধরে নিয়মিত সাফল্য এনে দিলেই পাওয়া যায় এই পুরস্কার। মুলত নগদ অর্থ, ট্রফি, সার্টিফিকেট দেওয়া হয়ে থাকে পুরস্কার স্বরূপ।
১৯০৫ সালের ২৯ শে আগুস্ট এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন হকির জাদুকর ধ্যান সিং ওরফে ধ্যানচাঁদ।তার বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। সেই সূত্রেই মাত্র ১৬ বছর বয়সে ধ্যানচাঁদ যোগদান করেছিলেন সেনাবাহিনীতে, সেখান থেকেই তার হকির অধ্যাবসায় শুরু, যা তাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছিল।
১৯২৮ সালে আমস্টারডাম অলিম্পিকে ১৪ টি গোল করেছিলেন ধ্যানচাঁদ। ১৯৩২ এবং ১৯৩৬ সালে অলিম্পিক হকিতে সোনা জিতে হ্যাটট্রিক করেছিল ভারতীয় দল, এই জিতের পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ধ্যান সিং ওরফে ধ্যানচাঁদের।
ধ্যান সিং এর থেকে তিনি ধ্যানচাঁদ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তার ধ্যানচাঁদ নামের পিছনে রয়েছে এক ইতিহাস, বলা হয়ে থাকে হকি ছিল ধ্যান সিং এর প্রান। তাই অনেক সময় তিনি রাতের বেলাতেও চাঁদের আলোয় অনুশীলন করতেন। সেকারনে তার সতীর্থরা নামের সাথে চাঁদ মিলিয়ে রেখেছিলেন ধ্যানচাঁদ।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধীর নাম সরানো নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, তবে ধ্যানচাঁদের মতো বিশ্বখ্যাতির নামে এই পুরস্কার যথার্থই বলা চলে।