ডানলপের ফুটপাতবাসীর দিকে খাবারের প্যাকেট এগিয়ে দিয়েছিলেন সাংসদের পক্ষ থেকে । তা প্রত্যাখ্যান করে বছর পঞ্চাশের এক মহিলা বলেন, ‘‘পলিটিক্যাল প্রোগ্রামের খাবার নেব না।’’ কেন? উত্তর এসেছিল, ‘‘ইমপসিবল, অসম্ভব।’’
ওই মহিলার কথা মুখে ইংরেজি কথা শুনে অবাক হন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের কর্মী তথা সাংসদ সৌগত রায়ের দেহরক্ষী বাবন দাস ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন।জানা যায়, মহিলাটি রায়গঞ্জের তুলসীতলার বাসিন্দা ঝর্না বছর সাতেক আগে স্বামীর অত্যাচারে ঘর ছাড়েন। দুই ছেলে, তিন মেয়েকে না জানিয়েই একা কলকাতায় আসেন চিকিৎসা করাতে। আর ঘরে ফেরেননি।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখে মঙ্গলবার ডানলপে মাকে নিতে আসেন তাঁর ছেলে নেহাল। বলেন, ‘‘তখন ছোট ছিলাম, অত বুঝিনি। পরে বুঝেছি, মা কেন বাড়ি ছেড়েছিলেন। মাকে যে ফিরে পাব, ভাবতেই পারিনি।’’উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ঝর্না যাদবকে সাত বছর পরে বাড়ি ফেরালেন। তিন বছর ছিলেন বরাহনগরের টবিন রোডের ফুটপাতে। ডানলপ সেতুর কাছে কাগজ-বোতল বিক্রি, চায়ের দোকানে কাজ করেই দিন চলত তাঁর। স্থানীয়দের কথায়, “কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন না মহিলাটি । ভিক্ষাও নিতেন না। ছেলেমেয়েদের কথা সবাইকে বলতেন।” তিনি ছেলেকে দেখে প্রথমে লাঠি দিয়ে মারতে যান ঝর্না। পরে বুকে জড়িয়ে ধরেন। বলেন, ‘‘এত দিন পরে মনে পড়ল মাকে? চল, বাড়ি যাই।’’ রাতেই দক্ষিণেশ্বর থেকে ফেরার ট্রেনে চাপেন মা-ছেলে।