প্রায় দু বছর গোটা বিশ্বকে দমিয়ে রাখার পর এবার এই অতিমারি হয়তো বিদায় নেবে। পৃথিবীর কিছু শ্রেষ্ঠ পুঁজিবাদ ছাড়া বোধয় খুব কমই এমন মানুষ আছেন যারা এই অতিমারী দ্বারা প্রভাবিত হননি। কিন্তু পর্ণশ্রি পল্লীর ট্যাক্সি চালকেরা বলছেন তারা নাকি “বিন্দাস” আছেন। মহামারী তাদের জীবন ও জীবিকাকে নড়া-চড়া করাতে পারেনি বলেই দাবি তাদের। তারা যা রোজগার করছে ত সামান্য হলেও কম নয় তাদের কাছে। জ্বালানির দাম এক ধাক্কায় ১২ টাকা বাড়তে পড়ার সম্ভাবনা নিয়েও খুব একটা চিন্তিত নন তারা কারণ তাদের আশা রাজ্য সরকার এই কঠিন পরিস্থিতিতে তোদের কিছু সাহায্য করবে। তাদের আশা আদেও পূরণ হবে কিনা তা সময় বলবে।
তবে দেশের আর চারটে শহরের মত কলকাতার বুকে অনলাইন-ক্যাব গাড়ির আধিপত্য তাদের কাছে বেশ কিছুটা উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। তার ওপর কম খরচায় দু-চাকা বাইক ট্যাক্সির আগমন আরো রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলেছে তাদের। বাজারটা আর আগের মত নেই এবং ক্রমশই হ্রাসের পথে। শীঘ্রই শহরের বুকে হলুদ ট্যাক্সি হয়তো পঙ্গু ঐতিহ্য হয়েই থেকে যাবে ঠিক শহরের ট্রামের মতই।
রাস্তায় বেরিয়ে এই চালকদের যাত্রী সংকট সমস্যা ছাড়াও শিকার হতে হচ্ছে অপকর্মের। চন্দন নামক এক চালকের পাশে বোমার বান্ডিল রেখে ও গলায় ব্লেড ঠেকিয়ে তার সমস্ত টাকা লুট করে চম্পট দেয় এক যাত্রী। আরো অবাক করার বিষয়টা হলো, ঘটনাটা ঘটে খিদিরপুর এলাকায় দিনের আলোয় বেলা আড়াইটা নাগাদ। বেকারত্ব নাকি আইন ব্যবস্থা, দায়ী কে?