কিছুদিন আগে কোভিডে আক্রান্ত হন প্রাক্তন ফুটবলার পেলে। শারীরিক পরিস্থিতি অতি সঙ্কটজনক বলে গত শনিবার ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘ফোলহা ডে সাও পাওলো’ এটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেই প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ তৈরি হয় ফুটবল জগতে।যদিও ফ্লাবিয়া নাসিমেন্টো ফুটবল তারকার মেয়ে এর প্রত্যুত্তরে জানান, খবরটি ভুল মুদ্রণ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “অনেকে বলছেন বাবা মৃত্যুমুখে রয়েছেন, তাঁকে রাখা হয়েছে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ। যাঁরা এই খবর প্রচার করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না। আমাদের বিশ্বাস করুন। পরিস্থিতি একদমই তেমন নয়” পেলের আর এক মেয়ে কেলি নাসিমেন্টো বলেছিলেন, ‘‘বাবা অসুস্থ। ওনার ববয়স হয়েছে,এখন শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা চলছে।একটু ভাল হলেই বাড়ি ফিরবেন। আপাতত কয়েক দিন বাবাকে হাসপাতালে থাকতে হবে’’বলে পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল।
সব জল্পনা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন প্রাক্তন ফুটবলার। তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ অনেকটাই সেরে উঠেছে। যদিও তাঁকে আরও কয়েক দিন সাও পাওলোর হাসপাতালে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার শ্বাসকষ্টের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তিন বারের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারকে।কোভিড মুক্ত হলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘‘পেলের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। ফুসফুস- এর সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। নতুন কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি।’’ তবে হাসপাতাল থেকে কবে বাড়ি ফিরবেন এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
তবে প্রাক্তন ফুটবলার পেলে স্বয়ং নিজে তার ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘আমার বন্ধুরা, সকলকে শান্ত এবং ইতিবাচক রাখতে চাই, আমি শক্তিশালীই রয়েছি। যথাযথ ভাবেই চিকিৎসা চলছে আমার। আমি সব চিকিৎসক এবং নার্সদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওনারা খুব যত্ন করছেন আমাকে।’’ এই পোস্টের পরেই কাতার বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারানোর পর বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার পেলের আরোগ্য কামনা করে ব্যানার তুলে ধরেন নেমার- এর দল।