পড়ুয়াদের বৃত্তিমূলক পাঠক্রমের শিক্ষায় আরও জোর দিতে চলেছে সিআইএসসিই বোর্ড। নয়া নীতিতে স্কুল এবং উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে একডজনেরও বেশি সংস্কারমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সিআইএসসি বোর্ডের তরফে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ দিন বইপত্র ছাড়াই স্কুলে আসতে বলা হচ্ছে। সেই দিনগুলিতে পড়ুয়াদের চলবে কিছু বিশেষ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ যেমন ছুতোর মিস্ত্রির কাজের পাঠ, কুমোরের কাজ, বাগান পরিচর্যা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ মেরামতির মতো একাধিক পেশাদার বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ অর্থাৎ শুধু পাঠ্যবইয়ের পড়াশোনাই নয়, জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ যেন সবটাই যা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই দেওয়ার কথা ভাবছে সিআইএসসিই বোর্ড। এ জন্য ১০ দিন স্কুলে বইপত্র ছাড়া এসে পড়ুয়ারা শুধু বৃত্তিমূলক কাজের প্রশিক্ষণ নেবে। এক শিক্ষক জানিয়েছেন, “ছুতোর মিস্ত্রির কাজ বা বাগান পরিচর্যা, যে কাজে যিনি পারদর্শী, তিনিই স্কুলে এসে প্রশিক্ষণ দেবেন পড়ুয়াদের। পড়াশোনার পাশাপাশি কোন পড়ুয়ার কোন দিকে ঝোঁক, শিক্ষকদের সেটা চিহ্নিত করে তাকে সেই ভাবে তৈরি করতে হবে। যেমন কারও অঙ্কে আগ্রহ , কারও ছবি আঁকা বা লেখালিখির প্রতি ঝোঁক থাকলে কী ভাবে সেই প্রতিভা আরও বিকশিত হতে পারে, তা দেখবেন শিক্ষকরা” ।
সম্প্রতি সিআইএসসিই বোর্ড বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে তারা কিছু বিশেষ বিষয়ের ওপর জোর দিতে চলেছেন। সেগুলিকে কার্যকর করার জন্য স্কুলগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে— পড়ুয়াদের নিচু ক্লাস থেকেই বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, পড়াশোনা ব্যতীত একাধিক বিষয় যেমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ, প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনায় মাতৃভাষার উপরে জোর দেওয়ার কথা। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষা দিয়েই শুরু করা ভাল। উঁচু ক্লাসে উঠলে তখন ইংরেজি শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে। মাতৃভাষা ও ইংরেজি ছাড়া সংস্কৃত-সহ অন্য কিছু ভাষাশিক্ষারও প্রয়োজন আছে বলে মত। অনলাইন ক্লাসে পড়ানোর পদ্ধতি আরও ভাল করে রপ্ত করার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা বোর্ড করবে বলে জানানো হচ্ছে।