অত্যাধিক গরমে নাজাহান রাজ্যবাসী। এই বছর যেন গ্রীষ্মের আবহাওয়া শুরু হওয়ার আগে থেকেই গ্রীষ্মের মাস পড়ে গিয়েছে, এপ্রিল মাসের শুরুতেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে যায় যার ফলে মানুষকে অস্বস্তিক মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু এখন এপ্রিল মাসের মতো গরম না থাকলেও অস্বস্তিকর একটা ভ্যাপসা গরম আবহাওয়া যেন মানুষকে বিরক্তিকর পরিস্থিতি মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাপমাত্রা ৩৮ বা ৩৯ থাকলেও গরমের অনুভূতি কিন্তু ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে, ফলে যত্রতত্র মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
আবহাওয়াবিদদের দাবি,এপ্রিল মাসে গরমের পরিমাণ বেশি থাকলেও সেখানে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে,ফলে এই ভ্যাপসা গরম থাকে না। কিন্তু এইবারে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের সাথে সাথে ও জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি। বৃহস্পতিবার কলকাতার আবহাওয়া ছিল সর্বোচ্চ ৩৮.৩ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার কলকাতার আবহাওয়ার অনুভূতি ছিল প্রায় ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে এই অত্যাধিক অস্বস্তিকর আবহাওয়ার জন্য মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে রেহাই মিলছে না রাত্রিবেলাতেও। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস দাবি, “দিনের বেলায় চড়া গরম রাতের তাপমাত্রার উপর প্রভাব ফেলছে। আকাশে কিছুটা মেঘ থাকার জন্য রাতে ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপের বিকিরণ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে রাতে তাপমাত্রা বেশি নামছে না।”
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন কিছুদিনের মধ্যেই এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে গরম কমবে বলে আশা করা যায়। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে পারে ১৯ থেকে ২১ জুনের মধ্যে। উত্তরবঙ্গে ১২ জুন বর্ষা প্রবেশ করায় হিমালয় সংলগ্ন এলাকা গুলিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকায় এখনো গরমের অস্বস্তিকার আবহাওয়া চলতে থাকবে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.১ ডিগ্রি। এই অত্যাধিক পরিমাণ গরমের কারণে মানুষ কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং হার্ট অ্যাটাক এবং সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।তবে এই গরমের অবসান ঘটিয়ে সস্থির বৃষ্টি আসতে পারে খুব শীঘ্রই।