হিজাব আইনের বিক্ষোভের ফলে রবিবার সেই আইন বদলের ইঙ্গিত দিলেন ইরান সরকার, কিন্তু নতুন আইনে আপাতত কেমন বদল আসবে তা লোক সম্মুখে আসেনি ইরানের সরকার।
ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মনতাজরি গত শুক্রবার বলেছিলেন, বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধানের বিষয়টির উপর নতুন সংস্কার নিয়ে ভাবনা চলছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে চলছে এই বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের জেরে আজ পর্যন্ত 300 এর বেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন ইরান পুলিশের হাতে ও গ্রেফতার হয়েছেন কমপক্ষে 14 হাজার মানুষ। ১৯৮৩ সালে থেকেই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারীর মাথা ঢেকে হিজাব পরার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়। হিজাব পরা নিয়ে পুলিশ হেফাজতে প্রাণ হারান মাহশা আমিনি, তারই প্রতিবাদে নামে ইরানবাসী ও সারা বিশ্বের মানুষ। হিজাব সরকারের নিয়ম মতো না পরার জন্য পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়, পরে তার উপর নির্মম অত্যাচার শুরু হয়, এর ফলেই প্রাণ হারাতে হয় 22 বছরের সেই তরুণীর।
ইরানে এরপর থেকেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। বিশ্বকাপের মঞ্চেও প্রথম ম্যাচেই জাতীয় সঙ্গীত না গেয়ে প্রতিবাদ জানান ইরানের জাতীয় দলের ফুটবলাররা। এই প্রতিবাদের খবর রাতারাতি বিশ্বখ্যাত হয়।